যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে তীব্র আকার ধারণ করেছে রাজনৈতিক উত্তেজনা। দেশজুড়ে বিরাজ করছে নানা শঙ্কা। দেখা দিয়েছে নজিরবিহীন সহিংসতা, দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও লুটপাটের আশঙ্কাও। সহিংসতা থেকে দোকান-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাঁচাতে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা।
ইতোমধ্যে কয়েকটি শহরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ভোটের দিন ও পরবর্তী দিনগুলোয় জ্বালাও-পোড়াও ও ভাংচুরের ভয়ে ঘরবাড়ি ছাড়ছে সাধারণ মার্কিনিরা।
বিবিসি জানায়, হামলা থেকে বাঁচতে আগেভাগে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছেন মার্কিন ব্যবসায়ীরা। তারা পিসবোর্ড দিয়ে দোকানের সামনের অংশ ঢেকে দিচ্ছেন।
এ রকম বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আছে স্যাকস, ফিফথ অ্যাভিনিউ, নোরডস্ট্রম এবং ফার্মেসি চেইন সিভিএস।
গত সপ্তাহে ওয়ালমার্ট আশঙ্কা প্রকাশ করে যে, নির্বাচনের ফলাফলকে ঘিরে ‘গণ অসন্তোষ’ দেখা দিতে পারে। এ জন্য তারা তাদের স্টোরে সাময়িকভাবে আগ্নেয়াস্ত্র এবং গুলি, খোলা জায়গায় প্রদর্শন বন্ধ রাখছে। তবে একদিন পর তারা সেই সিদ্ধান্ত বদল করে।
এদিকে নির্বাচন শেষমেশ শান্তিপূর্ণ হবে কিনা এবং ফলাফল ব্যাপকভাবে গৃহীত হবে, ভোটারদের মধ্যেও এমন দুশ্চিন্তা প্রকাশ পেয়েছে।
ইউএসএ টুডে ও সাফোক বিশ্ববিদ্যালয়ের চালানো এক যৌথ জরিপে দেখা গেছে, চারজন ভোটারের মধ্যে তিনজনেরই আশঙ্কা নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতা দেখা যেতে পারে।
শুধু একজন ভোটারের দৃঢ় বিশ্বাস নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে, তাও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন যদি বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে দিতে পারেন।
ল্যান্ডলাইন এবং সেলফোনে এক হাজার জন ভোটার এ জরিপে অংশ নেন। এতে দেখা যাচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে ৩৬ শতাংশ ভোটার খুব উদ্বিগ্ন। ১১ শতাংশ ভোটার খুব একটা উদ্বিগ্ন নন, একই শতাংশ ভোটার একেবারেই উদ্বিগ্ন নন।
এদিকে সহিংসতা মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করছে বিভিন্ন রাজ্য সরকার। রাজ্যে রাজ্যে, শহরে শহরে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ।
এএফপি জানিয়েছে, রাজধানী ওয়াশিংটনের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে হোয়াইট হাউস ও এর আশপাশের এলাকাগুলোতে সহিংসতা ও ভাংচুর থেকে নিজেদের সম্পদ সুরক্ষার জন্য দিনরাত কাজ করছেন ব্যবসায়ীরা। ভোটের দিন সামনে করে গত কয়েকদিন ধরে রাস্তার ধারের দোকানপাট ও ভবনগুলোর জানালা-দরজায় ও দেয়ালে দোকানিদের কাঠ ও বোর্ড লাগাতে দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: যে কারণে মার্কিন নির্বাচনের দিকে সারাবিশ্বের আগ্রহ
ভয়েস টিভি/এসএফ