পাবনার সাঁথিয়ায় কৃষককে অপহরণের পর নির্যাতন করে আলোচনায় আসা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আশরাফুজ্জামান টুটুলকে পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ২৮ অক্টোবর বুধবার রাতে আলোচিত এ যুবনেতাকে অব্যাহতি দেয় জেলা যুবলীগ।
সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান খান নিখিলের নির্দেশে পাবনা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলী মর্তুজা বিশ্বাস সনি স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
সম্প্রতি সাঁথিয়ার হারিয়াকাহন গ্রামের সোনাইবিলে এক কৃষক মাছ ধরায় তাকে অপহরণের পর নির্যাতন করে পরদিন ফেলে রেখে যায়। সাঁথিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আশরাফুজ্জামান টুটুল ও তার লোকজন এ নির্যাতন করে বলে অভিযোগ ওঠে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, হারিয়াকাহন গ্রামের সোনাইবিল বর্ষা মওসুমে পানিতে টইটুম্বর থাকে। বর্ষায় মাছ ধরা আর পানি নেমে গেলে সেখানে চাষাবাদ করেই এলাকার মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে। কয়েক বছর ধরে কালিপদ নামে এক ব্যক্তির নামে ইজারা নিয়ে বিলটি দখল করে রাখেন আশরাফুজ্জামান টুটুল। তার দখলে যাওয়ার পর থেকে বিলে মাছ ধরা বা চাষাবাদ করতে পারছেন না স্থানীয় কৃষকরা।
স্থানীয়রা আরও বলেন, নিজেদের জমি, অথচ নিজের জমিতে আমরাই মাছ ধরতে বা চাষ করতে পারি না। জীবিকার তাগিদে গোপনে জাল পাতা হলেও টুটুল বাহিনীর সন্ত্রাসীরা এসে মারধরসহ জাল তুলে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
নির্যাতনের শিকার মাসুদ, জমির মালিক সানোয়ার হোসেন, স্থানীয় কৃষক কোরবান আলীসহ আরও অনেকের অভিযোগ, সাঁথিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আশরাফুজ্জামান টুটুল পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর ঘনিষ্ঠ হওয়ায় থানা পুলিশও মামলা না নিয়ে উল্টো ভুক্তভোগীদের হয়রানি করছে।
ভয়েস টিভি/এসএফ