নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সমর্থক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির (২৫) মারা গেছেন।
২০ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত মুজাক্কিরের সহকর্মী সাংবাদিক মেজবাহ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি।
এর আগে, ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট তরকারি বাজারের সামনে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। ওই সময় সাংবাদিক মুুুজাক্কির সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহের সময় গুলিবিদ্ধ হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালীর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই কাদের মির্জা বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙে দিলে দুুু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এর জের ধরে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট বাজারে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী শুক্রবার বিকেলে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয়।
পরে বাদলের অনুসারীরা চাপরাশিরহাট বাজারে মিছিল করতে গেলে কাদের মির্জার সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কাদের মির্জা উপস্থিত হলে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয় এবং তারা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ৩ জন গুলিবিদ্ধসহ দুই পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা আমঙ্কাজনক।
ভয়েস টিভি/এসএফ