সাতক্ষীরার আশাশুনিতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অন্তত ১০-১২টি বোমা বিস্ফোরণ, কয়েকটি দোকানঘর ভাঙচুর ও একটি বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে।
১৩ ডিসেম্বর রোববার রাত ৮টা থেকে রাত একটা পর্যন্ত উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের কাপসন্ডা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রমজান ও রউফ গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। রোববার রাতে খাজরা ইউনিয়নের চেউটিয়া গ্রামের জিয়াদ বিশ্বাসের ছেলে আবু রায়হান ইটের ভাটায় কাজ করতে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন। কাপসন্ডা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রউফ গ্রুপের লোকজন তাকে বেদম মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে।
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে রমজান ও রউফ গ্রুপ রাম দা, লাঠিসোটা ও বোমা নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এসময় তাদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ভাঙচুর করা হয় আনারুল, কবীর, হোসেনসহ কয়েকজনের দোকান। আগুন দেয়া ঘটনা ঘটে কামরুল নামে একজনের বাড়িতে। ১০-১২টি বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোয় এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। রাতেই মারাত্মক আহত আবু রায়হানকে আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আশাশুনি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী জানান, রমজান ও রউফ উভয়ই আওয়ামী লীগের নেতা। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় রাজনীতিতে তাদের মতবিরোধ ও গ্রুপিং রয়েছে।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম কবীর জানান, ঘটনাটি জানার পর রাত একটার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। রমজান ও আব্দুর রউফের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। রায়হান নামের একটি ছেলেকে মারপিটের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ঘটনায় জড়িত থাকায় সাইফুল ইসলাম নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।
এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ভয়েসটিভি/এএস
