যমজ শিশু সাফিয়া-মারিয়ার পরিবারের স্বচ্ছলতা আনতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দেয়া অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় ছিনতাইকারী চক্রের নয় সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে আরও একটি অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়।
এর আগে শাবিপ্রবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সাফিয়া-মারিয়ার বাবা আনিসুর রহমানকে উপহার দেয় অটোরিকশাটি। সাতক্ষীরা শহরে চালানোর সময় চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে সেই ইজিবাইকটি ছিনতাই করে চক্রটি। অবশেষে সেই ইজিবাইকটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
১৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর থানায় সংবাদ সম্মেলনে করে এ কথা জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাউদ্দীন।
তিনি বলেন, গত ১২ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা শহরের জেলগেট ও বিনেরপোতা এলাকা থেকে তিনটি ইজিবাইক ছিনতাই করে একটি চক্র। ভাড়া নেয়ার কথা বলে গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই চেতনানাশক স্প্রে ও তরল পদার্থ খাওয়ানোর মাধ্যমে চালককে অজ্ঞান করে ফেলে তারা। পরে জনশূন্য স্থানে চালকদের ফেলে দিয়ে ইজিবাইক ছিনতাই করে পালিয়ে যায় তারা।
পুলিশ সুপার বলেন, এ ঘটনায় সদর থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়। মামলার তদন্তে জানা যায়, ছিনতাই চক্রের সদস্যরা মাদারীপুর ও মুন্সিগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। সাতক্ষীরা সদর থানার একটি টিম দুই জেলায় চারদিন অভিযান চালিয়ে ১৩ জানুয়ারি বুধবার ছিনতাইকারী চত্রের নয় সদস্যকে গ্রেফতার করে। উদ্ধার করা হয় ছিনতাই হওয়া দুটি ইজিবাইক।
সাফিয়া-মারিয়ার বাবা সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়নের ফয়জুল্লাহপুর গ্রামের বাসিন্দা আনিসুর রহমান বলেন, পরিবারে রোজগারের জন্যে সিলেটের স্যারেরা অটোরিকশাটি আমাকে দিয়েছিলেন। গাড়িটি চালানোর সময় আমাকে স্প্রে করে ইজিবাইকটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
ছিনতাইকারীরা অটোর রং পরিবর্তন করে ফেলেছে। এছাড়া বাকি সব ঠিক আছে। যশোর জেলার মনিরামপুর থানার রাজারহাট এলাকা থেকে আমার গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে। আমি পুলিশ স্যারদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সাফিয়া মারিয়ার বাবার ইজিবাইকটি উদ্ধার করতে গিয়ে আরও আরেকটি উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে থানা হেফাজতে রয়েছে। ছিনতাইকারী চক্রের নয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারেও অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন : ইজিবাইক হারিয়ে এখন শুধু কাঁদছেন তারা
ভয়েস টিভি/এমএইচ