Home বিনোদন সালমান শাহ হত্যা : চূড়ান্ত প্রতিবেদনের শুনানি ১১ অক্টোবর

সালমান শাহ হত্যা : চূড়ান্ত প্রতিবেদনের শুনানি ১১ অক্টোবর

by Newsroom
সালমান শাহ

চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি গ্রহণের ওপর শুনানির জন্য ১১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। মামলার বাদী প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেবেন বলে সময়ের আবেদন করেন আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এ দিন ধার্য করেন।

৩১ আগস্ট সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া এই দিন নির্ধারণ করেন।

এ বিষয়ে সালমান শাহ হত্যা মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ বলেন, এ মামলায় আজ তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নেওয়ার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আমরা এই মামলায় নারাজি আবেদন করব বলে সময়ের আবেদন করেছি। শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১১ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করেছেন।

মামলার বাদী সালমান শাহের মা লন্ডনে অবস্থান করছেন। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে তিনি দেশে আসতে পারছেন না। তাই নারাজি দেয়ার জন্য সময়ের আবেদন করা হয়।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালতের ডেসপাস (আদানপ্রদান) শাখায় এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পিবিআইর পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম। ২৪ ফেব্রুয়ারি আলোচিত এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন তুলে ধরেন পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার।

পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, সালমান শাহ রহস্যজনক মৃত্যুর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়েছে। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে—এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি তদন্তে। আমরা সালমানের স্ত্রী সামিরাসহ সন্দেহভাজনদের বক্তব্য নিয়েছি। সব মিলিয়ে এটিই প্রতীয়মান হয়েছে যে পারিবারিক কলহ ও মানসিক যন্ত্রণা সইতে না পারায় আত্মহত্যা করেন সালমান শাহ।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন ওরফে সালমান শাহ নিহত হন। সে সময় তাঁর বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছিলেন। ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই সালমানের বাবা তাঁর ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে—এমন অভিযোগ এনে সিএমএম আদালতে একটি অভিযোগ করেন।

ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিএমএম আদালত অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যার অভিযোগটি একসঙ্গে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দেন।

পরবর্তী সময়ে একই বছরের ৩ নভেম্বর সিআইডি ঘটনাটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করে সিআইডি।

ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি ফের বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন। এরপর ১২ বছর ধরে এ মামলা বিচার বিভাগীয় তদন্তে ছিল।পরে ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট সিএমএম হাকিম বিকাশ কুমার সাহার কাছে মহানগর হাকিম ইমদাদুল হক বিচার বিভাগীয় তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

পরবর্তী সময়ে সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালতে আরেকটি নারাজি দাখিল করেন।

এর শুনানি শেষে বিচারক মামলাটি র‍্যাবকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সে আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করেন।

পরে ঢাকার বিশেষ জজ ৬-এর বিচারক ইমরুল কায়েস রিভিশন মঞ্জুর করেন। এরপর ২০১৬ সালের শেষ দিকে পিবিআইকে নতুন করে তদন্তভার দেওয়া হয়।

ভয়েস টিভি/টিআর

You may also like