ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত আনুমানিক ৪৮ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিতব্য সিত্তি বন্দরের কাজ এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে ভারত ও মিয়ানমার। ৭ অক্টোবর বুধবার মিয়ানমার বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইরাবতী এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রাখাইনে যৌথ বন্দর কার্যক্রম আগামী বছরেই শুরু হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে উভয় দেশের পণ্য আনা-নেয়ায় যে পরিমাণ সময় লাগে তা কমে যাবে। এছাড়া বঙ্গোপসাগর ও মিয়ানমারে চীনা প্রভাব মোকাবিলা করতে পারবে ভারত।
এর আগে গত রোববার ও সোমবার ভারতের সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে এবং পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মিয়ানমার সফর করেন। সফরে ভারতীয় কর্মকর্তারা মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি, প্রতিরক্ষা সার্ভিসের কমান্ডার ইন চিফ সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাং এবং অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়. বৈঠকে ২০২১ সালের প্রথম তিন মাসের মধ্যে সিত্তি বন্দরের কাজ এগিয়ে নিতে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে। দিল্লির সহায়তায় চলমান ত্রিপক্ষীয় মহাসড়কসহ বেশ কয়েকটি অবকাঠামোর অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
২০০৮ সালে মিয়ানমারে স্বাক্ষরিত একটি কাঠামোগত চুক্তি হয় ভারতের। চুক্তি অনুযায়ী প্রকল্পটি সিত্তি বন্দরকে কালাদান নদীর ১৫৮ কিলোমিটার নদীপথ ও মিজোরাম রাজ্যের ভারত-মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন ১০৯ কিলোমিটারের পালেতোয়া থেকে জরিনপুই সড়ক পথের মাধ্যমে যুক্ত হবে মিজোরাম রাজ্যের রাজধানী আইজাওয়াল। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কলকাতা থেকে সিত্তির ভ্রমণ দূরত্ব কমে যাবে প্রায় এক হাজার ৩২৮ কিলোমিটার।
দিল্লির কৌশলগত লক্ষ্য সিত্তি বন্দর ঘিরে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা নির্মাণ। আর এতে রাখাইনে ভারতের প্রভাব অটুট থাকবে এবং বঙ্গোপসাগরে তাদের উপস্থিতি জোরালো হবে। এছাড়া সিত্তি বন্দরের মাধ্যমে রাখাইনে চীনা অর্থায়নে বাস্তবায়িত কিয়াকফিউ বন্দরের প্রভাব মোকাবিলা করতে চায় ভারত।
ভয়েস টিভি/এমএইচ