ঢাকা: কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় গঠিত প্রশাসনিক কমিটির তদন্ত রিপোর্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে।
৭ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
বেলা সাড়ে ১১টায় প্রতিবেদন জমা দিতে সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান কমিটির প্রধান। সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন কমিটি জমা দিয়েছে। এটি এখনই প্রকাশ করা হবে না। প্রতিবেদন আদালতে পাঠানো হবে। এছাড়া প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি সুপারিশ করা হয়েছে, এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটি দায়িত্ব পাওয়ার ৩৫ দিনের মাথায় রিপোর্ট জমা দিয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য প্রতিবেদনে ১৩টি সুপারিশ করেছে এ কমিটি।
গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনার পর ২ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে।
কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলে মন্ত্রণালয়। এর পর দুদফায় ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সশয় বাড়ানো হয়। এ সময়ের মধ্যেও ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বক্তব্য গ্রহণ করতে না পারায় কমিটির মেয়াদ সর্বশেষ ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
২ সেপ্টেম্বর কমিটি কক্সবাজার জেলা কারাগার ফটকে প্রদীপ কুমার দাশের বক্তব্য গ্রহণ করে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর প্রতিনিধি অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক জাকির হোসেন খান ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাজাহান আলী।
সিনহার মৃত্যুর ঘটনাটি কেন ঘটেছে এবং এ ঘটনায় কারা দায়ী তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ভয়েস টিভি/টিআর