জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথমবারের মতো সিরিয়ায় বিমান হামলা চালিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। তাঁর নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার দেশটিতে ‘ইরানপন্থী যোদ্ধাদের’ ব্যবহৃত বেশ কিছু সামরিক স্থাপনা ধ্বংস করে মার্কিন বাহিনী। এ নিয়ে নিজের দেশেই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন বাইডেন।
২৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার টেক্সাস যাওয়ার পথে বাইডেন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইরানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তোমরা দায়সারা আচরণ করতে পারবে না। সাবধান হও! এ হামলা ইরানের জন্যে সতর্কবার্তা ছিল বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
এর আগে, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নির্দেশে বৃহস্পতিবার রাতে সিরিয়ায় বেশ কিছু সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এতে অন্তত ১৭ জন ইরানপন্থী যোদ্ধা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, স্থাপনাগুলো ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ব্যবহার করত। সম্প্রতি ইরাকে মার্কিনিদের লক্ষ্য করে রকেট হামলার জবাবে এই বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে পেন্টাগন।
তবে ইরাকে হামলার জবাবে সিরিয়ায় আঘাত হানার পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। সমালোচকেরা এই হামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বাইডেনের নিজ দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কিছু সদস্যই এর সমালোচনা করেছেন। আবার বিরোধী দল রিপাবলিকান পার্টির আইন প্রণেতা ও সিনেটররা এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন প্যাসকি বাইডেনের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেছেন, অভ্যন্তরীণ আইনের বিষয় হলে মার্কিন কর্মকর্তাদের রক্ষায় অনুচ্ছেদ ২ ক্ষমতাবলে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। মার্কিন স্থাপনাগুলোতে সাম্প্রতিক হামলার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে এবং আগামীতে আরও আক্রমণের ঝুঁকি প্রতিহত করতে এটি বেছে নেয়া হয়েছে।
প্যাসকির দাবি, সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলা ‘আত্মরক্ষার অধিকার’ অনুসারে আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন সাংবাদিকদের বলেছেন, গত বৃহস্পতিবার সিরিয়ায় হামলা হয়েছিল তার পরামর্শে। আমরা বহুবার বলেছি, সময়মতো ব্যবস্থা নেব। আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে, আমাদের লক্ষ্য সঠিক ছিল।
তবে বিদেশে মার্কিন বাহিনীর কর্মকাণ্ডের কড়া সমালোচক সিনেটর টিম কেইন কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই সিরিয়ায় হামলা চালানোর বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনকে যুক্তিসঙ্গত কারণ উপস্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন : ইরানের ওপর থেকে উঠে গেল অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা
ভয়েস টিভি/এমএইচ