সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের মাইজগাঁওয়ে একটি তেলবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে মাইজগাঁও ও বিয়ানীবাজারের মাঝে গুতিগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার খলিলুর রহমান জানান, চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী ওয়াগন ট্রেনটির ১০টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এর মধ্যে সাতটি ট্যাংকার রেল লাইনের পাশে পড়ে যায়। এ সময় তেল ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়তে থাকলে স্থানীয় লোকজন হাড়ি-পাতিল, বালতি ও ড্রাম নিয়ে তেল সংগ্রহ করতে শুরু করে।
স্থানীয় বাসিন্দা টিটু চন্দ্র বলেন, তেলবাহী ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়েন। অগ্নিঝুঁকির মধ্যে তেল সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়ে শত শত মানুষ। রাতের বেলা অন্ধকারের মধ্যে পুলিশ চেষ্টা করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি।
স্টেশন ম্যানেজার খলিলুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার কারণে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেস মোগলাবাজার স্টেশনে আটকা পড়ে। পরে যাত্রা বাতিল করে ট্রেনটি সিলেট ফিরে যায়।
সিলেট থেকে ঢাকাগামী জয়িন্তকা এক্সপ্রেস ও চট্টগ্রামগামী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস শুক্রবার মৌলভীবাজারের কুলাউড়া স্টেশন থেকে নিজ নিজ গন্তব্যে যাত্রা করবে। দুর্ঘটনা কবলিত তেলের ট্যাংকারগুলো উদ্ধারে রাতে কুলাউড়া ও আখাউড়া থেকে উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে।
তবে সেগুলো সরিয়ে আবার রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক করতে বেশ সময় প্রয়োজন বলে খলিলুর রহমান জানান।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া রেলওয়ে স্টেশনের সিনিয়র সাব অ্যাসিস্টেন্ট মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার দুলাল চন্দ্র দাস বলেন, চট্রগ্রাম থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে আসা তেল ট্রেনের ২১টি লরির মধ্যে ১০টি লাইনচ্যুত হয়। সকাল পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে একটি লরি উদ্ধার করতে পেরেছি। বাকিগুলো উদ্ধারে আরও অন্তর ৫-৬ ঘণ্টা সময় লেগে যেতে পারে।
তিনি বলেন, লাইনচ্যুত অবশিষ্ট লরিগুলো উদ্ধারে আখাউড়া রেলওয়ে জংশন থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন সকাল ৯টার দিকে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন : ফরিদগঞ্জে তেলবাহী লরি চাপায় তিনজন নিহত
ভয়েস টিভি/এমএইচ