সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের শিকার হওয়া সেই তরুণী গৃহবধূ আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে সেই রাতের রোমহর্ষক বর্ণনা দেন সেই গৃহবধূ।
২৭ সেপ্টেম্বর রোববার দুপুরে সিলেট মহানগর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (তৃতীয়) আদালতের বিচারক শারমিন খানম নীলার এজলাসে জবানবন্দি দেন তিনি।
আদালত সূত্র জানায়, রবিবার দুপুর ১টার দিকে ওসমানী হাসপাতাল থেকে ওই গৃহবধূকে সিলেট মহানগর হাকিম ৩য় আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ। দেড়টার দিকে তিনি আদালতে ওই রাতের ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত বর্ণনা দেন। আদালতে তার পুরো জবানববন্দি লিপিবদ্ধ করা হয়।
গত শুক্রবার এমসি কলেজে ঘুরতে আসা এক দম্পতিকে আটকে জোর করে ছাত্রাবাসে তুলে আনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এরপর স্বামীকে বেঁধে মারধর করে তার স্ত্রীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে সাইফুরসহ অন্যরা।
এ ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা করেছেন। মামলায় এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে ৬ জনকে। সেই সঙ্গে অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন- এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণ: ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
মামলার আসামিরা হলেন- সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, রবিউল হাসান ও মাহফুজুর রহমান মাসুম। তাদের মধ্যে চারজনই এমসি কলেজের শিক্ষার্থী।
এদিকে আজ রোববার ভোরে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে ও চার নম্বর আসামি অর্জুন লস্করকে হবিগঞ্জের মাধবপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তারা পৃথকভাবে সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ভয়েস টিভি/টিআর