Home সারাদেশ ফরিদপুর সেফ হোম থেকে পলাতকদের মধ্যে একজন উদ্ধার

ফরিদপুর সেফ হোম থেকে পলাতকদের মধ্যে একজন উদ্ধার

by Newsroom
আনসার

ফরিদপুরে সেফ হোম থেকে পালিয়ে যাওয়া সাত তরুণীর মধ্যে আছিয়া (১৪) নামে একজনের সন্ধান মিলেছে। ৫ ডিসেম্বর শনিবার সকালে সদর উপজেলার বিল মাহমুদপুর থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

সমাজসেবা অধিদফতর পরিচালিত ‘মহিলা ও শিশু কিশোরী হেফাজতিদের নিরাপদ আবাসন’ নামের সেফ হোমটি ফরিদপুর শহরের টেপাখোলা এলাকায় সোহরাওয়ার্দী লেক পাড়ের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত।

এর আগে শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুই আনসার সদস্যের ঘুমিয়ে থাকার সুযোগে গ্রিল ভেঙ্গে প্রাচীর টপকে পালিয়ে যায় সাত তরুণী। এ ব্যাপারে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ওই সেফ হোমের উপ-তত্ত্বাবধায়ক রোমেনা আক্তার।

ফরিদপুর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুনিল কর্মকার জানান, সেফ হোম থেকে পালিয়ে যাওয়া সাত তরুণীর মধ্যে আছিয়াকে উদ্ধার করা হয়েছে। আরও ছয় তরুণীকে উদ্ধারের জন্যে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

সেফ হোম সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সেখানে মোট ৭২জন নিবাসী ছিলেন। এর মধ্যে থেকে সাতজন শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুই আনসার সদস্য সালমা বেগম (২৬) ও বিউটি আক্তারের (২৭) ঘুমিয়ে থাকার সুযোগে গ্রিল ভেঙ্গে পালিয়ে যায়।

পালিয়ে যাওয়া ওই তরুণীরা হলো, রাজবাড়ী থেকে আসা সাথী আক্তার সোনালী (২২) ও আলিশা আক্তার তারা (২০), মাদারীপুর থেকে আসা লাকী আক্তার সুরমা (১৩), শরীয়তপুর থেকে আসা আছিয়া (১৪), রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ থেকে আসা মেঘলা (১৪), গোপালগঞ্জ থেকে আসা তামান্না আক্তার (১৬) এবং মাগুরা থেকে আসা ময়না (২০)।

এরা সবাই ভবঘুরে হিসেবে জেলা ও উপজেলায় পুলিশের হাতে আটক হয়ে আদালতের মাধ্যমে এ সেফ হোমে ছিল।

এদের মধ্যে আলিশা আছেন ২০১৫ সাল থেকে। বাকিরাও তিন কিংবা চার বছর ধরে আছেন। এদের আইনগত অভিভাবক না পাওয়ায় আদালত তাদের সেফ হোমে প্রেরণ করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওই সেফ হোমের উপ তত্ত্বাবধায়ক রোমেনা আক্তার বলেন, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত দুই আনসার সদস্য ঘুমিয়ে থাকার সুযোগে সাত তরুণী পালিয়ে যাওয়ার এ ঘট ঘটে। সাত জনের মধ্যে আজ সকালে একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। পলাতকদের সন্ধানে পুলিশের পাশাপাশি সেফ হোম কর্তৃপক্ষও কাজ করছেন।

ফরিদপুর সমাজ সেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক এএসএম আলী আহসান বলেন, ওই নিবাসীদের নিরাপদে রাখার জন্যে উচু সিমানা প্রাচির ও মোটা গ্রিল এ সেফ হোমে ছিল না। সেফ হোম থেকে কারও পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা এই প্রথম।

আরও পড়ুন : অ্যাসাইনমেন্টের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়

ভয়েস টিভি/এমএইচ

You may also like