নড়াইলে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী মো. ফোরকান উদ্দিনকে ফাঁসি ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
১৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে, পেনাল কোডের ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে মামলার রায় ঘোষণা করেন জেলা ও দায়রা জজ মুন্সি মো. মশিউর রহমান।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, মো. মজিবুর রহমান সরকারের মেয়ে মর্জিনা বেগম ওরফে বিথির সঙ্গে পিরোজপুরের তেজদাকাটি গ্রামের মৃত তোফায়েল উদ্দিন খানের পুত্র ফোরকান উদ্দিন ওরফে সাকিল খানের বিয়ে হয়। মর্জিনার আগের ঘরের পাঁচ বছর বয়সী একটি ছেলে ছিল। সেও তাদের সঙ্গে থাকতো।
ফোরকান ও মর্জিনা লোহাগড়া উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের খলির শেখের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ফোরকান লক্ষীপাশার মিথুন হোটেলে বাবুর্চির কাজ করতেন।
২০১৫ সালের অক্টোবরের ১১ তারিখে আসামি ও ভুক্তভোগী মর্জিনা রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন সকালে বাড়ির মালিক খলির শেখ তার ভাড়া ঘরে মর্জিনার জখমপ্রাপ্ত রক্তাক্ত দেহ দেখে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ এসে লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায়।
ভুক্তভোগীর ছেলে পাঁচ বছর বয়সী মো. মোস্তফিজুর জানায়, ফোরকান মাকে বটি-ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। পরবর্তীতে পুলিশ ১৩ অক্টোবর তারিখে থানায় চূড়ান্ত রির্পোট পেশ করে।
পরে অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে পাঠানো হয়। সিআইডি ফোরকানকে গ্রেফতার করে এবং আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। সিআইডি পুলিশ পেনাল কোডে ৩০২ ধারায় অভিযোগ দাখিল করে। বিজ্ঞ বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ সাজা দেন।
ভয়েসটিভি/এএস
