ভয়েস রিপোর্ট: সরকারের নির্বাহী আদেশে মুক্ত দন্ড প্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দুই বছর পর এবার বাসায় ঈদ উদযাপন করছেন। ঈদে পাশে ছিলো তার স্বজনরা দেখা করেছেন নেতা-কর্মীরাও ।
নিজের বাসায় ঈদ করলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছিল না। সারাদিন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দিন কাটান খালেদা জিয়া।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজা হওয়ার পর চারটি ঈদ কারা করতে হয় কারাগারে । গত ২৫ মার্চ জামিনে মুক্তি পাওয়ায় এবার গুলশানের নিজ বাসায় ভাই-বোন ও তাদের সন্তানদের সঙ্গে ঈদের দিনটি কাটান তিনি।
গত ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে ছয় মাস সাজা স্থগিত রেখে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়। মুক্তির পর নিজের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় ওঠেন খালেদা জিয়া।
বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে তার গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় গেছেন দলের স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য।
সোমবার (২৫ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ওই নেতারা ‘ফিরোজা’য় প্রবেশ করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবীর খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
শুভেচ্ছা বিনিময়ে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে আছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আব্দুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
করোনা মহামারি প্রতিরোধে দেশবাসীকে ঘরে থাকার এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ঘরে থাকুন, সাহস হারাবেন না। ঈদের দিন রাতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলীয় প্রধানের এই বার্তা সাংবাদিকদের জানান।
তিনি বলেন, আপনাদের মাধ্যমে খালেদা জিয়া দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এই যে মহাসংকট করোনাভাইরাস মহামারি সমস্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনে মোকাবিলা করার জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি ম্যাডাম আহ্বান জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়া বলেন, বাড়িতে থাকুন, একটু কষ্ট করুন। বাড়িতে থেকেই এই সংক্রমণকে প্রতিরোধ করতে হবে। জনগণ যেন ঘরে থাকে এবং এই মহামারিকে প্রতিরোধ করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যে সমস্ত বিধান দিয়ে তা যেন তারা মেনে চলে।