Home অর্থনীতি দেশের বাজারে বেড়েছে স্বর্ণের চাহিদা

দেশের বাজারে বেড়েছে স্বর্ণের চাহিদা

by Newsroom

দেশের বাজারে স্বর্ণের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আমদানিতে ঝুঁকছে ব্যবসায়ীরা। বাড়তি চাহিদা মেটাতে মূল্যবান এ ধাতুটির আমদানির জন্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আবেদন করেছে ব্যবসায়িরা।

জানা গেছে, চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত দাম অনুযায়ী দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ৭৪ হাজার ৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ ৭০ হাজার ৮৫৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ ৬২ হাজার ১১১ টাকায় ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি ৫১ হাজার ৭৮৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এর আগে অবৈধ পথে স্বর্ণ আমদানি ঠেকাতে এক নীতিমালা করে সরকার। সেই নীতিমালা বাস্তবায়নে দেশে স্বর্ণ আমদানি করতে একটি ব্যাংকসহ ১৯ প্রতিষ্ঠানকে দুই বছরের জন্যে লাইসেন্স দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এসময়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর আমদানি কার্যক্রম সন্তোষজনক হলে পরবর্তীতে লাইসেন্স নবায়ন করা হবে বলে জানায় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, নীতিমালার পর দেশে বৈধ পথে প্রথম ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড ১১ কেজি পাকা স্বর্ণ আমদানি করে। পরের চালানে অ্যারোসা গোল্ড ক্রোপ ১৪ কেজি আমদানি করে। এছাড়া ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের আরো ২০ কেজি, জুয়েলারি হাউজের আড়াই কেজি, রত্ন গোল্ড কর্নারের তিন কেজি, জড়োয়া হাউজের ১৪ কেজি, রিয়া জুয়েলার্সের ১২ কেজি এবং বিডিইএক্স গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডের ১ কেজিসহ সব মিলিয়ে ৫২ কেজি ৫০০ গ্রাম স্বর্ণ আমদানি বিবেচনাধীন রয়েছে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির (বাজুস) সাধারণ সম্পাদক ও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, বর্তমানে দেশের বাজারের ১৫ থেকে ২০ টন স্বর্ণের চিাহিদা রয়েছে। বৈধভাবে আমরাই সবার আগে ১১ কেজি স্বর্ণ আমদানি করেছি। এরপর অ্যারোসা এনেছে ১৪ কেজি। আরও কিছু প্রতিষ্ঠানের আমদানি আবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকের বিবেচনায় আছে। অনুমতি পেলেই আমদানি করবে তারা। ব্যাংকিং জটিলতা সহজ না হলে ভবিষ্যতে স্বর্ণ আমদানি কঠিন হয়ে যাবে।

স্বর্ণ আমদানির লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- চতুর্থ প্রজন্মের মধুমতি ব্যাংক, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড, জুয়েলারি হাউজ, রত্ন গোল্ড কর্নার, অ্যারোসা গোল্ড কর্পোরেশন, আমিন জুয়েলার্স, শ্রীজা গোল্ড প্লেস লিমিটেড, জড়োয়া হাউস প্রাইভেট লিমিটেড, মিলন বাজার, এসকিউ ট্রেডিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, এম কে ইন্টারন্যাশনাল, আমিন জুয়েলার্স লিমিটেড, বুরাক কমোডিটিস এক্সচেঞ্জ কোং, গোল্ডেন ওয়াল্ড জুয়েলার্স, রিয়া জুয়েলার্স, লক্ষ্মী জুয়েলার্স, বিডিইএক্স গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ড লিমিটেড, ডি ড্যামাস দ্য আর্ট অব জুয়েলারি এবং প্রিন্সেস গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ড কটেজ লিমিটেড।

ভয়েস টিভি/এমএইচ

You may also like