Home রাজনীতি স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন খালেদা জিয়া

স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন খালেদা জিয়া

by Amir Shohel
খালেদা

করোনা আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেয়া হয়েছে। তবে তিনি স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।

০৩ মে সোমবার বিকালে খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। পরে রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার মেডিকেল টিমের সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছেন। সকালের দিকে খালেদা জিয়া শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন। চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সম্মিলিত সিদ্ধান্তে তাকে সিসিইউতে ভর্তি করান। হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় এখানকার চিকিৎসক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করছেন।

এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে ডা. এজেডএম জাহিদ বলেন, মানুষের যেকোনো সময়ে যেকোনো পরিস্থিতিতে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। খালেদা জিয়ার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে এবং সেগুলো এখানকার চিকিৎসকরা কালেকটিভলি করছেন। সেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সঙ্গে সঙ্গে দেশে বিদেশের কনসালটেন্টের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে। পরবর্তীতে বিস্তারিত জানা যাবে।

খালেদা জিয়াকে তিনি দেখে এসেছেন জানিয়ে ডা. জাহিদ বলেন, করোনারি কেয়ার ইউনিটে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নেন রোগীরা। খালেদা জিয়া স্বাভাবিকভাবেই শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছেন। তার অবস্থা এই মুহূর্তে স্থিতিশীল। তবে খালেদা জিয়ার আবারও করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এ প্রশ্ন এড়িয়ে যান ডা. জাহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, আপনাদের মাধ্যমে আমরা দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করব যে, খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য আপনারা মহান রাব্বুল আ’লামীনের কাছে দোয়া করবেন। তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

গত ২৭ এপ্রিল রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান (চেস্ট), আল্ট্রাসনো, হৃদযন্ত্রের ইসিজি ও ইকো ইত্যাদি পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন করা হয়েছে। খালেদা খালেদা জিয়া দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আর্থ্রাইটিজ, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যায় ভুগছেন। হাসপাতালে তার চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এতে আরো রয়েছেন ডা. এফ এম সিদ্দিকী, ডা. এজেডএম জাহিদ, ডা. আব্দুলতাহ আল মামুন, ডা. সিনা, ডা. ফাহামিদা বেগম, ডা. মাসুম কামাল, ডা. আল মামুন, সাদিকুল ইসলাম এবং ডা. তামান্না।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ চিকিৎসক টিম গঠন করে অধ্যাপক ডা. এফএম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চিকিৎসা শুরু হয়। আক্রান্তের ১৪ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরে খালেদা জিয়ার ফের করোনা টেস্ট করা হয়। কিন্তু ফলাফল পজেটিভ আসে। তখন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. সিদ্দিকী গণমাধ্যমকে বলেন, খুব লো টাইপের করোনা পজিটিভ এসেছে তার (খালেদা জিয়ার)।

এদিকে গত ৩০ এপ্রিল খালেদা জিয়ার বাসভবনের সবাই করোনামুক্ত হয়েছেন। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫শে মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়’ শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। পরে আরও দু’ দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয়। মুক্তি পাওয়ার পর খালেদা জিয়া গুলশানে ভাড়া বাসা ফিরোজায় থেকে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার সঙ্গে বাইরের যোগাযোগ সীমিত।

ভয়েসটিভি/এএস

You may also like