Home অপরাধ স্বামীকে গলা কেটে হত্যা করে কর্মস্থলে হাজির স্ত্রী

স্বামীকে গলা কেটে হত্যা করে কর্মস্থলে হাজির স্ত্রী

by Newsroom
স্বামীকে গলা কেটে হত্যা

গাজীপুরের টঙ্গীতে দাম্পত্য কলহের জের ধরে সাইফুল ইসলাম (৪৮) নামে চা বিক্রেতাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্ত্রী বিউটি আক্তারকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ। তিনি চার সন্তানের জননী। ৮জুলাই বুধবার সকালে টঙ্গীর হিমারদীঘি এলাকার জনৈক আব্দুল কুদ্দুসের বাড়িতে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।

নিহত সাইফুল ইসলাম রংপুরের গঙ্গারচর থানার চাঁনবাগ গ্রামের সামসুল ইসলামের ছেলে। তিনি ফ্লাক্সে করে চা বিক্রি করতেন। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।

টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) বাবুল হোসেন জানান, দীর্ঘদিন যাবত দাম্পত্য কলহ বিরাজ করছিল ওই দম্পতির মধ্যে। বুধবার সকালে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে স্ত্রী বিউটি ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী সাইফুলের গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যা করেন। পরে তিনি স্বামীর মরদেহ ঘরে রেখেই কারখানায় কাজে যোগ দেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কারখানা থেকে ছুটি নিয়ে বিউটি বাসায় ফিরে আসেন। পরে পাশের ভাড়াটিয়ারা বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার ও বিউটিকে আটক করে।

নিহতের ছেলে আরিফুল ইসলাম জানায়, তারা তিন বোন এক ভাই। সে টঙ্গীতে একটি কারখানায় চাকরি করে। তার এক বোন ছোট আর বাকি দুই বোনের বিয়ে হয়েছে। তারা একই বাড়িতে ভাড়া থাকে। ৬-৭ দিন আগে পারিবারিক বিষয়ে তার বাবা-মায়ের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। বুধবার সকালে সে এবং তার ছোট বোন তার বড় বোনের ঘরে টিভি দেখছিল। সকালে তার মা কোকাকোলা কারখানায় কাজে চলে যান। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি ফের বাসায় চলে আসেন। কিছুক্ষণ পর তার মাকে ডাক দিলে ঘরের ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক ডাকাডাকির পর মা দরজা খুললে ঘরের মধ্যে বাবা সাইফুল ইসলামের রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়।

টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, দাম্পত্য কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। নিহতের স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে।
সম্পাদনা : ডিএইচ

You may also like