চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার গোবিন্দপুরে দম্পতি খুনের ঘটনায় একজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। ১৪ অক্টোবর বুধবার রাতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী নেন দামুড়হুদা সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক মানিক দাস।
উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের ঈমান আলির ছেলে মিঠুন আলী এ জবানবন্দী দেন।
পুলিশ জানায়, দামুড়হুদা উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের ইয়ার আলি ও তার স্ত্রী রোজিনা খাতুনকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় প্রথমে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের দেয়া তথ্য ভিত্তিতে একই গ্রামের মিঠুনকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে হাজির করলে তিনি স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী দেন। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক জানান, দম্পতি হত্যাকাণ্ডের জট অনেকটা খুলতে শুরু করেছে। বেশ কয়েকটি বিষয় সামনে রেখে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে মিঠুনের নাম পাওয়া গেলে তাকে আটক করে আদালতে তোলা হয়। তারা কয়েকজন মিলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে আদালতে স্বীকার করে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরো যারা জড়িত আছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যহত রয়েছে।
এর আগে গত ৪ অক্টোবর দামুড়হুদার গোবিন্দপুর গ্রামের হিপাত মোল্লার ছেলে ইয়ার আলী ও তার তৃতীয় স্ত্রী রোজিনা খাতুনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর নিহতদের জামাতা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে নয়জনকে সন্দেহভাজন উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ইয়ার আলীর সাবেক দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার ভাতিজাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ভয়েস টিভি/এমএইচ