ছাত্রলীগের নির্যাতনে নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ স্মরণে রাজধানীর পলাশীতে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ৭ অক্টোবর বুধবার রাতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) উদ্যোগে এটি ভেঙে দেয়া হয়।
এর আগে গত ৬ অক্টোবর মঙ্গলবার রাত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনের নেতৃত্বে এ স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হয়।
এ সময় আখতার এই স্মৃতিস্তম্ভকে সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, গণপ্রতিরক্ষা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা, দেশীয় শিল্প-কৃষি ও নদী-বন-বন্দর রক্ষা, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা এবং মানবিক মর্যাদার এ আটটি বিষয়ের প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পাওয়া একটি ভিডিওতে বুলডোজার দিয়ে স্তম্ভটি ভেঙে ফেলতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে একদল পুলিশ সদস্যও উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে লালবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম আশরাফ বলেন, এটি ভাঙার বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। তবে জায়গাটি সিটি করপোরেশনের। যেহেতু এটি একটি ট্র্যাফিক আইল্যান্ডে তাই সেখানে ইট-পাথরের স্তূপ বা অন্য কিছু রাখা হলে সেটি তারা বুঝবে। জায়গাটি শাহবাগ ও নিউমার্কেট থানারও অধীনে হওয়ায় এ বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসা করার পরামর্শ দেন তিনি।
শাহবাগ ও নিউমার্কেট থানায় যোগাযোগ করা হলেও তারা এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান।
তবে ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের বলেন, এটা সিটি করপোরেশনই ভেঙে ফেলেছে। কারণ এ ধরনের স্তম্ভ তৈরি করতে হলে সিটি করপোরেশনের অনুমতি সাপেক্ষ্যে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করতে হয়। তারা অনুমতি না নিয়েই রাতারাতি এটা তৈরি করেছে। আরেকটি কারণ হচ্ছে এটা রাস্তার মাঝখানে অপরিকল্পতভাবে তৈরি করা হয়েছে। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে।
গত বছরের ৬ অক্টোবর বুয়েটের এক ছাত্রলীগ নেতার কক্ষে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
ভয়েস টিভি/এমএইচ