ভয়েস রিপোর্ট: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেও দীর্ঘ ৬৭ দিন পর সড়কে নেমেছে গণপরিবহন। সোমবার সকাল থেকেই রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়। তবে কিছু সংখ্যক বাসের ভেতর শারীরিক দূরত্ব কিছুটা থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি।
চিকিৎসকরা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে দ্রুত করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাবে। এতে মারাত্মক ক্ষতির আশংকা রয়েছে বলেও মনে করেন তারা। এদিকে, ঝিনাইদহ-কুমিল্লাসহ সারাদেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরপাল্লার পরিবহন চলাচল শুরুর খবর পাওয়া গেছে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গণপরিবহন চলাচল শুরুর প্রথম দিনে অনেক পরিবহনই শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে যাত্রী তুলছে। তবে গাড়ির ভেতর অনেক যাত্রীরই মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস নেই। স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই গাড়িতে উঠছে যাত্রীরা। আর চালক-হেলপারসহ সংশ্লিষ্টদেরও নির্দেশনা মানতে দেখা যায়নি তেমন। নেই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থাও। ফলে কতোটা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস চালাতে পারবে, সেই শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এদিকে,স্বাস্থ্যবিধি না মানার বিষয়ে মালিকপক্ষকেই দোষারোপ করছে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। এতোকিছু জেনেও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ না করার অভিযোগ তাদের।
তবে, রাজধানীতে চলাচল করা পরিবহনের অধিকাংশই স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলায়, দ্রুতই করোনা সংক্রমন বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। তাই, যাত্রীদেরকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ তাদের।
অন্যদিকে, করোনা ভাইরাস রোধে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ঝিনাইদহে শুরু হয়েছে বাস চলাচল। সকাল থেকেই জেলায় স্থানীয় ও দুরপাল্লার ৬ টি রুটে বাস চলাচল করতে দেখা গেছে। বাসে ওঠার আগে করা হচ্ছে জীবানুনাশক স্প্রে।
সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লায়ও গণপরিবহন চালু হয়েছে। জেলার শাসনগাছা, জাঙ্গালিয়া ও বিশ্বরোড বাস স্ট্যান্ডে সরকারি নির্দেশনা মেনে সীমিত পরিসরে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়েই যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে বাসগুলোতে ছিটানো হয়েছে জীবানুনাশন স্প্রে, এছাড়া শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাসের ছিটে বসানো হয়েছে যাত্রী।