পাবনার যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম লাভলু হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ সাত বছর পর রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। একই সঙ্গে চাঞ্চল্যকর এ হত্যার প্রধান আসামি পলাশ মিয়াকে (৩৪) গ্রেফতার করেছে। সে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার বাওশা গ্রামের জালাল মিয়ার ছেলে। তবে তার সহযোগীরা পলাতক রয়েছে।
পাবনা জেলা পিবিআই এর পুলিশ সুপার মো. ফজলে এলাহি জানান, ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম লাভলুকে ২০১৪ সালের ১ সেপ্টেম্বরে লালন শাহ সেতুর টোল প্লাজার কাছে অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জন ছিনতাইকারী কুপিয়ে হত্যা করে। তার সঙ্গে থাকা মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা।
এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ ও সিআইডি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়। মামলার বাদী আব্দুর রাজ্জাক অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন দিলে আদালত পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পিবিআই হত্যাকাণ্ডের মুল হোতা পলাশ মিয়াকে (৩৪) সম্প্রতি রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার কালারিপারা থেকে গ্রেফতার করে। পর পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে নিহত লাভলু ঘটনার দিন রাতে পাকশী লালন শাহ সেতুর টোল পয়েন্টের কাছে পৌঁছালে পলাশ ও তার দলবল রশি ফেলে তাদের গতিরোধ করে। তারা তাকে বেধড়ক মারধর এবং ছুরিকাঘাত করে। এতে লাভলুর মৃত্যু হলেও বেঁচে যান তার সঙ্গে থাকা মোসতাকিন মনোয়ার।
এ ঘটনায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা হলে পিবিআই তদন্ত করে পলাশের নাম জানতে পারে। পড়ে পলাশকে গ্রেফতারের পর তার কাছ থেকে হত্যার মুল রহস্য উদঘাটন করা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের নামও জানিয়েছে পলাশ।
জিজ্ঞসাবাদ শেষে হত্যাকান্ডের মুল হোতা পলাশ মিয়াকে মঙ্গলবার আদালতের মাধমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তার সহযোগীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
ভয়েস টিভি/এমএইচ