Home সারাদেশ হাঁটুপানিতে ঈদের জামাত !

হাঁটুপানিতে ঈদের জামাত !

by shahin

খুলনা প্রতিনিধি : খুলনার কয়রা উপজেলার দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ ও সবজিক্ষেতসহ চারিদিকে শুধু পানি আর পানি। ডুবে গেছে নিন্মাঞ্চল । ঘূর্ণিঝড় আম্পানে আঘাতে বেড়িবাঁধ ভেঙে চারিদিকে শুধু থৈ থৈ করছে পানি আর পানি । শুকনো জায়গার বড়ই সংকট । এরই মধ্যে কয়েকটি গ্রামের মানুষ বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত এলাকায় হাঁটুপানিতে দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। তারা স্বেচ্ছাশ্রমে বেড়িবাঁধ মেরামত করতে সেখানে সেখানে জড়ো হন।

সুপার সাইক্লোন আম্পানের ফলে পানিতে তলিয়ে গেছে উপজেলার ৮০ভাগ এলাকা। কয়রায় ১২১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ২১ জায়গায় ৪০ কিলোমিটারের অধিক বাঁধ ভেঙে গেছে।

সোমবার ঈদুল ফিতরের দিন সেই ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ নির্মাণে সেচ্ছাশ্রমে অংশ নিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়েই আদায় করেছেন পবিত্র ঈদের নামাজ।

বেলা সাড়ে ১০টায় কয়রা উপজেলার ২নং কয়রা নদী ভাঙন পাড়ে এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

ঈদের নামাজে ইমামতি করেছেন কয়রার উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আ খ ম তমিজ উদ্দিন। নামাজ শেষে সেমাই খেয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ তৈরি করতে নামেন এলাকাবাসী। দুপুরে তাদের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল খিঁচুড়ির।

নামাজ শুরুর আগে কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম জনগণের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।

বক্তব্যে তিনি লণ্ডভণ্ড কয়রার দুর্বিসহ অবস্থা তুলে ধরেন এবং মজবুত বাঁধ নির্মাণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এছাড়া স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ বাঁধার কাজে অংশগ্রহণ করার জন্য এলাকাবাসীকে ধন্যবাদ জানান।

উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ূন কবির বলেন, বাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে গ্রামের লোকজন সমস্যায় ছিলেন। যে কারণে কয়েকহাজার লোক মিলে ভোর থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ মেরামত শুরু করেন। কাজ যখন শেষর দিকে তখন সাগরে জোয়ার ছিলো। আশপাশে শুকনো স্থানও ছিলো না। তাই আমরা সবাই মিলে পানিতে দাঁড়িয়ে দুটি জামাতে ঈদের নামাজ আদায় করি। এতে গ্রামের লোকজন অংশ নেয়।’’

ইয়াসিন আরাফাত রুমি/ বিভাগীয় প্রতিনিধি/ খুলনা /ভয়েস টিভি

You may also like