খুলনা সংবাদাদাতা : খুলনার উপকূল কয়রায় সুপার সাইক্লোন আম্ফানের আঘাতে ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ এলাকায় হাঁটু পানিতে ঈদ-উল-ফিতরের জামাত আদায়কে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিতর্কের অবসানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে ।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন তিন সদস্য বিশিষ্ট এই তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তদন্ত কমিটিকে অতিদ্রুত রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউর রহমান জানান, তদন্ত কমিটিতে জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. ইকবাল হোসেনকে প্রধান করা হয়েছে। এছাড়া অপর দুই সদস্য হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি- সার্কেল) মো. হুমায়ুন কবির ও কয়রার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নূর-ই-আলম সিদ্দিকী।
বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এসএম শফিকুল ইসলাম ঈদের দিন ভোরে ভাটার সময় বাঁধ মেরামতের জন্য গ্রামের লোকজনকে উপস্থিত থাকতে আগে থেকেই আহ্বান জানান। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সেখানেই ঈদের জামাত আদায়ের কথা ছিল। সে মোতাবেক আশপাশের কয়েকটি গ্রামের পাঁচ হাজারেরও বেশি লোক বাঁধে জড়ো হয়ে মেরামত কাজ শুরু করেন।
ঈদুল ফিতরের দিন ২নং কয়রা নদী ভাঙন পাড়ের ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ নির্মাণে স্বেচ্ছাশ্রমে অংশ নেয়া কয়েক হাজার হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়েই পবিত্র ঈদের নামাজ আদায় করেন।
পানির মধ্যে আদায়কৃত ঈদ জামাতে ইমাম ছিলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা আ.খ.ম. তমিজ উদ্দিন ।
পানির মধ্যে ঈদের জামাত নামাজ আদায়ের সংবাদ দেশের গণমাধ্যম গুলোতে গুরুত্বসহকারে প্রচার হয় । এ নিয়ে ঝড় উঠে স্যোসাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে। সৃষ্টি হয় নানা তর্ক- বিতর্ক ।
অবশেষে গঠন করা হলো তদন্ত কমিটি ।