ঘুরে দাঁড়ালো সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। পর পর দুই ম্যাচ হেরে লিগ টেবলের তলানিতে চলে গিয়েছিল তারা। ২৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে প্রথম জয় পাওয়ায় পয়েন্ট টেবিলের ছয় নম্বরে উঠে এলেন ডেভিড ওয়ার্নাররা।
আর এদিন হেরে যাওয়ায় জয়ের হ্যাটট্রিক হলো না দিল্লি ক্যাপিটালসের। আবুধাবিতে হায়দরাবাদের কাছে ১৫ রানে আত্মসমর্পণ করতে হলো শ্রেয়াস আইয়ারের দল দিল্লি ক্যাপিটালসকে।
এদিন টস জিতে শ্রেয়াস আইয়ার প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান হায়দরাবাদকে। দিল্লির বোলাররা শুরুর দিকে স্ট্রোক খেলার জায়গাই দেননি ওয়ার্নার ও বেয়ারস্টোকে। রানের গতিও সে ভাবে বাড়াতে পারেননি দুই ওপেনার। ডেভিড ওয়ার্নার ৩৩ বলে ৪৫ রান করে অমিত মিশ্রর বলে আউট হন। মণীশ পাণ্ডেও (৩) অমিত মিশ্ররই শিকার।
হায়দরাবাদ ১৬২ রানে পৌঁছে যায় বেয়ারস্টো ও কেন উইলিয়ামসনের জন্য। এ বারের আইপিএলে এ দিনই প্রথম ম্যাচ খেললেন উইলিয়ামসন। তিনি নামার পরেই রানের গতি বাড়ে হায়দরাবাদের। কিউই ব্যাটসম্যান ২৬ বলে ৪১ রান করেন। বেয়ারস্টো ৫৩ করায় হায়দরাবাদ তোলে চার উইকেটে ১৬২ রান।
রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ভুবনেশ্বর কুমার আউট করেন পৃথ্বী শকে (২)। ম্যাচ জিততে হলে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট তুলতেই হতো হায়দরাবাদকে। সেই কাজটাই করেন রশিদ খান-ভুবনেশ্বর কুমাররা। রশিদ বল করতেই এসেই ফিরিয়ে দেন শ্রেয়াসকে (২১ বলে ১৭)। অভিজ্ঞ শিখর ধওয়নও (৩৪) রশিদ খানেরই শিকার।
ঋষভ পন্থ ও হেটমায়ার দ্রুত গতিতে রান তুলছিলেন। ১২ বলে চটজলদি ২১ রান করার পরে ভুবির বলে ফেরেন এ ক্যারিবিয়ান বাঁ হাতি। দিল্লির ভরসা ছিলেন ঋষভ পন্থ ও স্টোইনিস। পন্থকে (৩২) আউট করে ফের ধাক্কা দেন রশিদ খান। স্টোইনিসকে এলবিডব্লিউ করেন নটরাজন। এর পরে দেওয়াললিখন স্পষ্ট হয়ে যায়। দিল্লি-ভক্তরা বুঝে যান এই ম্যাচ বের করা আর সম্ভব হবে না প্রিয় দলের পক্ষে। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে দিল্লি করে সাত উইকেটে ১৪৭ রান।
ভয়েস টিভি/এসএফ