Home সারাদেশ ১০ টাকা কেজিতে চাল দিতে ৬১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ

১০ টাকা কেজিতে চাল দিতে ৬১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ

by shahin

ভয়েজ ডেস্ক : করোনা ভাইরাসের কারণে স্থবির দেশে নিন্ম আয়ের মানুষদের জন্য ১০ টাকা কেজি চাল দিতে সরাকার আর ৬১৮ কোটি টাকা বরাদ্ধ দিয়েছ । মহামারী করোনার কারণে সারা দেশে কর্মহীন হয়ে পড়াদের সহায়তার লক্ষ্যে মোটা অংকের ভর্তুকি দিয়ে সারাদেশে প্রতিকেজি ১০ টাকায় চাল দিচ্ছে সরকার। চলতি মাসে এ ভর্তুকি মূল্যে চাল বিক্রির জন্য ৬১৮ কোটি টাকা ছাড় করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সুত্রে জানাযায় , খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় দেশের প্রান্তিক ৫০ লাখ পরিবারের কার্ডধারীদের মাঝে ১০ টাকা কেজি চাল বিক্রি করা হয়। এ ৫০ লাখ পরিবারকে চলতি মে মাসে ৩০ কেজি করে চাল দিতে এক লাখ ৫০ হাজার মেট্টিক টন চাল কেনা হবে। এ জন্য খাদ্য অধিদফতরের অনুকূলে চাল বিক্রির ভুর্তকি বাবদ ৩৯৬ কোটি ১৫ লাখা টাকা ছাড় করা হয়েছে।

সরকার শহরাঞ্চলসহ সারাদেশে খোলা বাজারে বিক্রি কর্মসূচির (ওএমএস) চালের দাম কমিয়ে ১০ টাকা করেছে। এর আগে ওএমএসের চালের কেজি ৩০ টাকা ছিল। খোলা বাজারে ১০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রির জন্য ৮৪ হাজার মেট্টিক টন চাল কিনবে সরকার। এ জন্য ভর্তুকি বাবদ খাদ্য অধিদফতরের অনুকূলে মে মাসে ২২১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ছাড় করা হয়েছে।

গ্রাম এলকায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ পরিবারকে ১০ টাকা কেজিতে এ চাল দেয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে কারোনার কারণে এ কর্মসূচি ছাড়াও একই সঙ্গে অনেক কর্মসূচি চলমান রয়েছে। স্থানীয়ভাবে এ কর্মসূচি বাস্তবয়নে যারা জড়িত তারা সিদ্ধান্ত নেবে কখন কোন কর্মসূচি চালাবে।’

‘কারণ খাদ্যবান্ধ কর্মসূচির পাশাপশি ত্রাণ, মানবিক সহায়তা, ভিডিজিসহ অনেকগুলো কর্মসূচি আছে। এ কর্মসূচি প্রতিটি জেলায় সমন্বয় করেন ডিসি এবং ইউএনও। আমরা খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা পেলে তাদের প্রয়োজনীয় চাল দিয়ে দেব। আর তারাই ঠিক করবেন কোন কর্মসূচি কখন চালু রাখবেন।’

খোলা বাজারে ১০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রির বিষয়ে মহাপরিচালক বলেন, ‘গত মাসে দশ কেজি করে দেয়া হয়েছে। এ মাসে কার্ড দেয়া হয়ে গেছে অধিকাংশ জায়গায়। তালিকায় হয়ে গেছে এখন ডাটাবেজের কাজ চলছে। এ কার্যক্রম শেষ হলেই মধ্য মের দিকে এ কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।’

You may also like