Home অপরাধ ক্লু-লেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদঘাটন

ক্লু-লেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদঘাটন

by Shohag Ferdaus
হত্যাকাণ্ডের

নোয়াখালীর সদর উপজেলার নোয়ান্নাই ইউনিয়নের করমুল্লাপুর গ্রাম থেকে নারীর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তখন পরিচয় জানা না গেলেও পরে জানা যায়, নিহত শাহানা (১৮) চাঁদপুর জেলার পুরান বাজার গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে।

১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ অভিযুক্ত দুই আসামিকে বিচারিক আদালতে হাজির করে। নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে খুনের দ্বায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তারা। পরে আদালত তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে, সকালে বেগমগঞ্জ উপজেলার কেন্দুরবাগ এলাকা থেকে অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বেগমগঞ্জ উপজেলার কেন্দুরবাগ গ্রামের বাগারি বাড়ির মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত (২৬), একই এলাকার চৌকিদার বাড়ির মো. আব্দুল মালেকের ছেলে মো. রাসেল (২৪)।

সুধারম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নবীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহত শাহানার সঙ্গে মুঠোফোনে ইয়াছিন আরাফাতের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে এর আগে কয়েকবার শাহানা প্রেমিক ইয়াছিনের উদ্দেশে চাঁদপুর থেকে নোয়াখালী আসে।

সর্বশেষ গত ২৯ সেপ্টেম্বর নোয়াখালী আসে শাহানা। একপর্যায়ে শাহানা ইয়াছিনকে বিয়ে করতে চাপ দেন। বিয়ে করার কথা নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ইয়াছিন ও তার সহযোগী রাসেল কৌশলে শাহানাকে নোয়ান্নাই ইউনিয়নের খন্দকার স’মিলের পেছনের একটি তিন তলা পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করে। পরে মরদেহ বস্তায় ঢুকিয়ে নোয়ান্নাই ইউনিয়নের করমুল্লাপুর গ্রামের একটি ডোবার মধ্যে ফেলে দেয়।

ওসি আরও জানান, পুলিশ মরদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ক্লুলেস এ হত্যাকাণ্ডের মাস্টার মাইন্ডসহ দুই আসামিকে গ্রেফতার করে রহস্য উদঘাটন করে।

৩০ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় সদর উপজেলার ৩ নম্বর নোয়ান্নই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের করমুল্যাহপুর গ্রামের একটি ডোবা থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় ওই তরুণীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ভয়েস টিভি/এসএফ

You may also like