‘আমি শুধু এই অসহ্য যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে চাই।’ কান্না জড়িত কণ্ঠে ফোনের অপর পাশ থেকে কথাগুলো বলছিলেন কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ লিটন মিয়া। তার বাম হাতটি কারখানায় কাজ করতে গিয়ে ভেঙে যায়। এখন অপারেশনের জন্য প্রয়োজন ২৫ হাজার টাকা। অথচ নদী ভাঙনে সর্বস্ব হারানো লিটনের পরিবারের সেই ব্যয় বহনের ক্ষমতা নেই। তাই সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা চেয়েছেন লিটন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের ৩১ নম্বর রুমে ভাঙা হাত নিয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন কুড়িগ্রামের লিটন মিয়া। উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের তিস্তা নদী ভাঙনে সর্বস্ব হারানো হতদরিদ্র পরিবারের ছেলে এই লিটন।
তিনি কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। অভাবের সংসারে নিজের লেখাপড়ার খরচসহ ছোট বোনেরও পড়ার খরচ চালাতেন তিনি। তাই নরসিংদী জেলার মাদবদীর একটি ডায়িং ফ্যাক্টরিতে খণ্ডকালীন কজ নেয় লিটন।
কিন্তু ভাগ্যের বড় নির্মম পরিহাস কর্মরত অবস্থায় পড়ে গিয়ে তার বাম হাতটি ভেঙে যায়। এক্সরে করার পরে ডাক্তার দ্রুত অপারেশন করাতে বললেও টাকার তা আর হয়নি। অবশেষে রংপুর মেডিকেল হাস্পাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। তার বাবার দৈনিক আয় দিয়েই কোনো রকমে চলে তাদের সংসার। ফলে ছেলের দেখাশোনাও করতে পারছে না ঠিকভাবে।
ভাগ্যের পরিহাসে এখন একাই হাস্পাতালের বিছানায় শুয়ে চোখের জল মুছছে এই মেধাবী শিক্ষার্থী। তার অপারেশন সম্পন্ন হতে ২৫ হাজার টাকা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে লিটন নিজে।
সমাজের কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি এগিয়ে আসলে একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ফিরে পাবে তার স্বাভাবিক জীবন।
তাই লিটনকে সার্বিক সহযোগিতার জন্যে যোগাযোগ করুন ০১৭৮৭৯১০১০৩, ০১৩০৩২৫৫২৪৯ (বিকাশ এবং রকেট)।
ভয়েস টিভি/এসএফ