ভারতে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ২৭ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত আট ধাপে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং ২ মে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। ২৬ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ভারতের নির্বাচন কমিশন এ সূচি ঘোষণা করে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা ও এনডিটিভির।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, রাজ্যে ২৭ মার্চ প্রথম দফায় ৩০টি আসনে, ১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় ৩০টি আসনে, ৬ এপ্রিল তৃতীয় দফায় ৩১টি আসনে, ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফায় ৪৪টি আসনে, ১৭ এপ্রিল পঞ্চম দফায় ৪৫টি আসনে, ২২ এপ্রিল ষষ্ঠ দফায় ৪৩টি আসনে, ২৬ এপ্রিল সপ্তম দফায় ৩৬টি আসনে এবং ২৯ এপ্রিল শেষ অষ্টম দফায় ৩৫টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে ভোট গ্রহণ চলার পর ২ মে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
এদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে শঙ্কা জানিয়ে রেখেছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)।
তাদের শঙ্কার ভিত্তিতেই নির্বাচনের সময়সীমা দীর্ঘায়িত করা হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা জানিয়েছেন, তিনি কোনো দলের নাম উল্লেখ করতে চান না। কিন্তু নিরাপত্তা পরিস্থিতির ব্যাপারে কমিশন নজর রাখছে। গতবারের চেয়ে ভোট গ্রহণের সময়সীমা একদিন বাড়ানো হয়েছে। এতে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না।
তিনি বলেছেন, ইতোমধ্যেই নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে দুই পর্যবেক্ষক পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রয়োজনবোধে তৃতীয় আরেকজন পর্যবেক্ষকও পাঠাতে পারবে তারা।
অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির সঙ্গে রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের হাড্ডাহাড্ডি ভোটের লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে মমতা ব্যানার্জিকে সরাতে দফায় দফায় দিল্লি থেকে মোদি, অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডার মতো হেভিওয়েট নেতাদের রাজ্যে ডেকে এনে নির্বাচনি প্রচারণা চালাচ্ছে বিজেপি।
এনডিটিভি জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে জয় পেতে অর্থ, সময় এবং শক্তি খরচে কোনো কার্পন্য করছে না বিজেপি। কিন্তু বাইরের একটি দল এসে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা চালাতে পারবে না নির্বাচনি প্রচারণায় এই তথ্য ব্যবহার করে নিজেদের পক্ষে ভোট চাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন : ২৭ মার্চ শেখ হাসিনা-মোদির বৈঠকের সম্ভাবনা
ভয়েস টিভি/এমএইচ