রংপুর জেলায় প্রথম ধাপে করোনাভাইরাসের ২ লাখ ৪ হাজার ডোজ টিকা এসে পৌঁছেছে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে জেলায় ১৩টি বুথে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে।
৩১ জানুয়ারি রোববার ভোর ৬টার দিকে ভ্যাকসিনবাহী বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিকেলসের ফ্রিজার ভ্যানটি জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছায়। এ সময় সিভিল সার্জনসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা ভ্যান থেকে টিকার ১৭টি বক্স নামিয়ে ইপিআর স্টোরে সংরক্ষণ করেন।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার রায় বলেন, ঢাকা থেকে ফ্রিজার ভ্যানে পাঠানো টিকা রংপুরে এসে পৌঁছেছে। কোল্ড চেইন মেইনটেইন করে ইপিআই স্টোরের আইএলআর ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়েছে এসব ভ্যাকসিন।
রংপুরে প্রথম ধাপে ৭ উপজেলায় সাতটি এবং সিটি করপোরেশনের ছয়টি বুথের মাধ্যমে আগামী ৭ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে টিকা প্রয়োগ শুরু হবে জানিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, জেলায় প্রথম ধাপে ২ লাখ ৪ হাজার টিকা দেয়া হেবে। সিটির ভেতরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং উপজেলাগুলোতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এসব টিকা দেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে আরও ডোজ আসলে নিয়ম মাফিক এসব টিকা দেয়া হবে।
টিকা দেয়ার কাজে নিয়োজিত স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে বলেও জানান ডা. হিরম্ব কুমার রায়।
ভ্যাকসিন পেতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তালিকাভুক্তদের অনলাইনে বাধ্যতামূলক রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া ভ্যাকসিন গ্রহণ করা যাবে না।
স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা, প্রশাসনের কর্মকর্তা ও ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব ভ্যাকসিন দেয়া হবে।
এ সময় ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. কানিজ সাবিহা, করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ ও সংরক্ষণ কমিটির সদস্য মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (সিটিএসবি) শরীফ আল রাজীব, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি)
সৈয়দ মোহাম্মদ ফরহাদ, ঔষধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম, জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও কোল্ড ইন টেকনিশিয়ান আলাউদ্দিন আল আজাদসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকা প্রয়োগ
ভয়েস টিভি/এসএফ