ভোলার লালমোহনে মৃত্যুর ৮ মাস পর মো. কামাল মাঝি (৪০) নামে এক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার চট্রগ্রাম সিএমএম আদালতের নির্দেশে উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের সাদাপোল এলাকার কবরস্থান থেকে তার মরদেহ তোলা হয়। নিহত কামাল মাঝি ওই এলাকার মোস্তফা মিয়া হাওলাদারের ছেলে। তিনি চট্রগ্রামে থাকতেন এবং লেবার সর্দার হিসাবে কাজ করতেন।
ভোলার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের উপস্থিতিতে নিহতের মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পিবিআই, মামলা ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৫ জুন রাতে চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার রাজাখালী এলাকার বাসা থেকে কয়েকজন কামাল মাঝিকে ডেকে নিয়ে যায়। পরদিন নিহতের বাড়ি থেকে কিছু দূরে একটি গ্যারেজে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
পরে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। এরপর মরদেহ ভোলার লালমোহনে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।
পরে মৃত কামাল মাঝির ছেলে আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম সিএমএম কোর্টে ৩০২/৩৪ ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ৫ জনকে আসামি করা হয়।
আসামিরা হলেন, নজরুল ইসলাম দুলাল, মিলন, জেবল হক, শাহেআলম, আব্দুর রহমান। তাদের বাড়ি লালমোহন ও চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে। তারাও চট্রগ্রাম থাকেন। এরপর আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেন।
এ ব্যাপারে পিবিআই’র উপ-পরিদর্শক মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, আমরা মামলাটি তদন্ত করছি। আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করা হচ্ছে। আমরা ময়নাতদন্ত রিপোর্টেল অপেক্ষায় আছি। প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমরা মামলাটির সুষ্ঠু তদন্ত করব।
ভয়েস টিভি/এসএফ