মানবপাচার ও অর্থ পাচারের অভিযোগে কুয়েতে আটক লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া তার স্ত্রী সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম এবং শ্যালিকা জেসমিন প্রধানকেও এই মামলায় আসামি করা হবে।
১০ নভেম্বর মঙ্গলবার দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য গণমাধ্যমকে বলেন, আজ (মঙ্গলবার) কমিশন এই মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে। শিগগিরই উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করবেন।
দুদক বলছে, পাপুলের শ্যালিকা জেসমিনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৪৮ কোটি টাকার ‘অবৈধ লেনদেন ও পাচারের তথ্য’ অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে। এজন্য মামলাটি দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
পাপুলের বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠার পর গত ২২ জুলাই তার স্ত্রীর সেলিনা ও শ্যালিকা জেসমিনকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
এর আগে গত ২২ জুন ওই চারজনের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেয় দুদক। পাপুলের স্ত্রী, মেয়ে ও শ্যালিকার দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পাশাপাশি পাপুল দেশে ফিরলে আর যেন বিদেশে যেতে না পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করে পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) চিঠি দেয় দুদক।
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পাপুলকে ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির অন্যতম মালিক পাপুলের সেখানে বসবাসের অনুমতি রয়েছে।
পাচারের শিকার পাঁচ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েতি প্রসিকিউশন। ১৭ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর এখন তাকে রাখা হয়েছে কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে।
ভয়েস টিভি/এসএফ