Home বিনোদন চ্যালেঞ্জ ও হতাশা জয়ী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি যেভাবে আজ বিশ্বখ্যাত

চ্যালেঞ্জ ও হতাশা জয়ী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি যেভাবে আজ বিশ্বখ্যাত

by Newsroom
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি

প্রতিটি মানুষেরই জীবনে অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ আসে৷ হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি তার জীবনেও সৌন্দর্য সাফল্যের মাঝে এসেছিল নানা চ্যালেঞ্জ, সমস্যা ও হতাশা৷ তবে তিনি অদম্য মনোবলের পরিচয় দিয়ে সব কিছু মোকাবিলা করেছেন৷ সব জয় করে মার্কিন অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি অভিনয়, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও মানব হিতৈষী হিসেবেও বিশ্ব জুড়ে নিজেকে করেছেন পরিচিত।

অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ভয়েট ১৯৭৫ সালের ৪ জুন ক্যালিফোর্নিয়ার লসএঞ্জেলেসে জন্মগ্রহণ করেন।

তার মা-বাবার নাম যথাক্রমে মার্শেলিন বার্ট্রান্ড ও জন ভইট মা-বাবা উভয়েই ছিলেন পেশাদার অভিনয় শিল্পী। হলিউডের সর্বাধিক জনপ্রিয় অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি । ১৯৮২সালে লুকিন’ টু গেট আউট চলচ্চিত্রে বাবা জন ভইটের সাথে একটি শিশু চরিত্রে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে চলচ্চিত্র জগতে জোলির আবির্ভাব হয়।

তবে পেশাদার চলচ্চিত্র অভিনেত্রী হিসেবে তার অভিষেক ঘটে স্বল্প বাজেটের ছবি সাইবর্গ অভিনয়ের মধ্যদিয়ে। ১৯৯৩ সালে মুক্তি পায় ছবিটি।

১৯৯৫ সালে তার অভিনীত প্রথম বড় মাপের ছবি হ্যাকারস মুক্তি পায় । এই ছবিকে তিনি নাম ভুমিকায় অভিনয় করে। এর পরে অঞ্জলিনা জেলি কে আর পিছেনে ফিরে তাকাতে হয়নি । অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন ২০০৭ সালে।

মাত্র ১৪ বছর বয়সে গভীর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে মায়ের বাসা ছেড়ে প্রেমিকের সাথে বসবাস করতে শুরু করেন জোলি। বাউন্ডলে স্বভাবের জোলি তখন ‘মরেনো হাইস্কুল’-এ যাওয়া শুরু করলেন। সেখানে তিনি ‘বিগড়ে যাওয়া বহিরাগত’হিসেবে কুখ্যাত ছিলেন। টানা ২বছর নিজের সমস্ত উজাড় করে দেওয়ার পরও যখন তার প্রেমিক তাকে ছেড়ে চলে যায় তখন তিনি মানসিক ভাবে এতটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন যে, সবকিছু ভুলে সম্পূর্ণ ধ্যান জ্ঞান অভিনয়ের দিকে ঢেলে দেন। অভিনয়ের দিকে পুরোপুরি মনোযোগ দিলেও সে সময় ব্যক্তিগত জীবনে জোলি এতটাই অসুখী ছিলেন যে হেরোইন থেকে শুরু করে সবধরনের নেশা দ্রব্য সেবন করা শুরু করেছিলেন।

আরও পড়ুন : কুমারী থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সুচিত্রা সেনের নাতনি রাইমা

ব্যক্তিগত জীবনে জোলি তিন বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। ১৯৯৬ সালে অভিনেতা জনি লি মিলারকে বিয়ে করেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। দ্বিতীয়বার তিনি বিয়ে করেন অভিনেতা বিলি বব থরটনকে, ১৯৯৯ সালে। সবশেষ ২০১৪ সালে ব্র্যাড পিটকে বিয়ে করে সংসারী হন জোলি। কিন্তু তা-ও ভেঙে যায় ২০১৬ সালে।

এর মধ্যে লম্বা সময় দাম্পত্য জীবন কেটেছে বার ব্রাড পিটের সাথে প্রায় ১০ বছর । বাকী দুটি বিয়ে স্থায়িত্ব ছিলো তিন বছরেরও কম ।
জোলির ছয় সন্তান রয়েছে, যাদের মধ্যে তিনটি গৃহীত বা দত্তক নেয়া । মানে কম্বোডিয়া, আফ্রিকা ও ভিয়েত নাম সংগ্রহ করা । আর বাকী ৩ সন্তান রয়েছে, যা তার নিজের গর্ভের।

জোলি জীবনের প্রথম ত্রিশ বছর বয়স অভিনয়ের পাশাপাশি লেখাপড়াও করে । ডিগ্রি নেন নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও।

জোলি তার বাহ্যিক সৌন্দর্যের জন্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মিডিয়া কভারেজ পেয়েছেন। তার শরীরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও উল্লেখ যোগ্য দিক, তার ঠোঁট জোড়া । বিভিন্ন মিডিয়া ম্যাগাজিন ও সাময়িকীর পরিচালিত ভোটে একাধিক বার তিনি বিশ্বের ‘সবচেয়েসুন্দরী’বা ‘সেক্সি’ নারী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

অস্কারজয়ী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির শরীরে থাকা বিভিন্ন রকমের উল্কি প্রায়ই গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়।
জেলি জাতী সংঘের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে দীঘদিন দায়িত্ব পালন করছেন । মাঠ পর্যায়ে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে জোলি পরিদর্শন করেছেন এবং২০টিরওবেশি দেশে তিনি শরণার্থীও অভ্যন্তরীণ ভাবে উচ্ছেদ হওয়া মানুষের সাথে দেখা করেছেন। জেলির নিজস্ব আয় থেকে বিশ্বের অনেক দেশে অনাথ অসহায় শিশুদের খাদ্যের ব্যবস্থা হয়।

মানিবিক মানুষ হিসেবে জেলি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পুরস্কার ও সম্মানা পেয়েছেন।

৪৬ বছর বয়সী জোলি ২০২১ সালে বাংলাদেশেও এসেছিলেন । ঘুরে দেখেন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প। সেখানে কথা বলেন এবং সাহায্য করেন শরণার্থীদের ।

ভয়েস টিভি/ডি

You may also like