জেএসসি ও এসএসসির ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল প্রস্তুতের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সাভারের মোফাজ্জল-মোমেনা চাকলাদার মহিলা কলেজের শতাব্দী রায় নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান রেজিস্ট্রি ডাক যোগে এ নোটিশ পাঠান।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ছাড়াও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং ৯টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করে এই নোটিশ পাঠানো হয়।
আগামী ৩ দিনের মধ্যে নোটিশে উল্লেখিত দাবি মেনে না নিলে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
শতাব্দী রায়ের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নোটিশে শিক্ষার্থী দাবি করেছেন, জেএসসি ও এসএসসির ফলের ওপর ভিত্তি করে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রস্তত করলে তিনিসহ অনেক শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফল করার প্রস্তুতি থাকার পরও ভালো ফল থেকে বঞ্চিত হবেন, আগের জিপিএর কারণে।
নোটিশে বলা হয়েছে, জেএসসি ও এসএসসির ফলের গড় করার কারণে একদিকে যেমন অনিয়মিত, একাধিক বিষয়ে অকৃতকার্য, প্রস্তুতিহীন শিক্ষার্থীর জন্য সুযোগ তৈরি হবে, তেমনি কোনো কারণে জেএসসি কিংবা এসএসসিতে কম জিপিএ পাওয়া মেধাবী, পরিশ্রমী শিক্ষার্থীরা তাদের প্রচেষ্টা প্রমাণে ব্যর্থ হবে। পূর্বের ফলাফলের গড় করে পরবর্তী পরীক্ষার ফলাফল নির্ধারণ এক ধরনের জোরপূর্বক এবং বেআইনি বলে নোটিশে বলা হয়েছে, যা দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ আইনত করতে পারেন না।
করোনার কারণে যদি পরীক্ষা একেবারেই গ্রহণ না করা যায়, সে ক্ষেত্রে স্ব স্ব কলেজে অনুষ্ঠিত টেস্ট পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল প্রস্তুতের দাবি জানানো হয় নোটিশে। টেস্ট পরীক্ষা যেহেতু করোনা সংক্রমণের আগেই গ্রহণ করা হয়েছে এবং নিয়ম অনুযায়ী কলেজ থেকে তা অধিদপ্তরে জমা করা হয়, সেহেতু একজন শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সত্যিকারের প্রস্তুতির বিষয়ে বোঝা যাবে টেস্ট পরীক্ষার ফলাফলে এবং সে অনুযায়ী ফলাফল প্রস্তুত করলে তা হবে যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত।
গতকাল বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এবছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষা সরাসরি গ্রহণ না করে ভিন্ন পদ্ধতিতে মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরা দুটি পাবলিক পরীক্ষা অতিক্রম করে এসেছে। এদের জেএসসি ও এসএসসির ফলের গড় অনুযায়ী এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হবে।’
আরও পড়ুন: বছরের শেষে মূল্যায়নের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল
ভয়েস টিভি/এসএফ