Home জাতীয় আজিমপুরে চিরশয্যায় শায়িত ড. আনিসুজ্জামান

আজিমপুরে চিরশয্যায় শায়িত ড. আনিসুজ্জামান

by Newsroom

বরেণ্য শিক্ষাবিদ ও জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টায় রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এসময় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটু, ড. আনিসুজ্জামানের জামাতা আজিমুল হক, চাচা আখতারুজ্জামানসহ কয়েকজন আত্মীয় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল থেকে ড. আনিসুজ্জামানের মরদেহ আজিমপুর কবরস্থানে নেয়া হয়। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার দাফন হয়েছে। ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে দেয়া হয় গার্ড অব অনার।
এসময় সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেন, সর্বজন শ্রদ্ধেয় জাতীয় অধ্যাপক ও বাংলা একাডেমির সভাপতি আনিসুজ্জামানের প্রয়াণে দেশ ও জাতির যে ক্ষতি হলো তা অপূরণীয়, শতবর্ষেও তা পূরণ হওয়ার নয়। বাংলাদেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে প্রফেসর আনিসুজ্জামান ছিলেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার অবদান জাতি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবে।
এরআগে বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ড. আনিসুজ্জামান। মৃত্যুর আগে ও পরে তার শরীর থেকে সংগৃহীত নমুনায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়। অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ড. আনিসুজ্জামানের জন্ম ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। তিনি ভাষা আন্দোলন (১৯৫২), ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান (১৯৬৯) ও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ড. কুদরাত-এ-খুদাকে প্রধান করে গঠিত জাতীয় শিক্ষা কমিশনের সদস্য ছিলেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইমেরিটাস অধ্যাপক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন আনিসুজ্জামান। ১৯৮৫ সালে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস নিয়ে তার গবেষণা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি ২০১২ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলা একাডেমির সভাপতি ছিলেন।

You may also like