Home জাতীয় রায় না হওয়ায় আবরারের বাবার প্রতিক্রিয়া

রায় না হওয়ায় আবরারের বাবার প্রতিক্রিয়া

by Mesbah Mukul

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায় রোববার ২৮ নভেম্বর ঘোষণার কথা ছিল। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে আগামী ৮ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আবরারের বাবা বরকতুল্লাহ। রায় শুনতে আদালতে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু এদিন তা ঘোষণা না হওয়ায় আদালত প্রাঙ্গণে বলেন, ‘কুষ্টিয়া থেকে এখানে আমাকে যাওয়া-আসা করতে হয়। এটা বহু কষ্টের। রায়টা হয়ে গেলে ভালো হতো। আশা করি, যেন দ্রুত সময়ে সেটা হয়।

এদিন দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে আদালতের এজলাসে ওঠেন বিচারক। পরে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবী যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। তবে তা বিশ্লেষণ করে রায় প্রস্তুত করা সম্ভব হয়নি। এতে আরও সময় লাগবে। তাই এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য ৮ ডিসেম্বর তারিখ নির্ধারণ করা হলো।

ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ আদেশ দেন। এর আগে কড়া নিরাপত্তায় ২২ আসামিকে আদালতের এজলাসে নেয়া হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। সবাইকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন চুক্তির সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে আবরারকে ডেকে নেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। ওই রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা হলের দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক্স প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। পরে সিসিটিভি ফুটেজে তাকে হত্যার আলামত মেলে।

এ নিয়ে সেসময় দেশজুড়ে আলোচনার ঝড় ওঠে। ঘটনার পর ২২ আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে শুরু থেকে পলাতক থাকেন তিনজন।

ওই বছরের ১৩ নভেম্বর বুয়েটের ২৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি অভিযোগপত্র আমলে নেন আদালত। একই বছরের ২ সেপ্টেম্বর বিচার শুরু হয় মামলাটির।

১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ৫ অক্টোবর এ মামলার বাদী ও আবরারের বাবা আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

চলতি বছরের ২৪ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষের চিফ প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে পলাতক তিন আসামিসহ ২৫ জনের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন। পরে ১৪ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান।

ভয়েসটিভি/এমএম

You may also like