বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার মামলায় ২৫ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
১৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এ সময় কারাগারে থাকা ২২ আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ করেন। আদালত অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলে তড়িৎ ও প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরারকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
পরদিন আবরারের বাবা চকবাজার থানায় বাদী হয়ে ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পরে ১৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।
অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারনামীয় ১৯ জন এবং তদন্তে প্রাপ্ত এজাহারবহির্ভূত ছয়জন রয়েছেন। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন এবং এজাহারবহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারদের মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আটজন। হত্যা মামলার ৩ আসামি এখনও পলাতক। তারা হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মোস্তবা রাফিদ। তাদের মধ্যে প্রথম দুজন এজাহারভুক্ত ও শেষের জন এজাহারবহির্ভূত আসামি।
চলতি বছরের মার্চে মামলাটির দ্রুত বিচারের জন্য আবরারের পরিবার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের জন্য আবেদন করেন। সে আবেদনে সাড়া দিয়ে আইনমন্ত্রণালয় আবরার হত্যা মামলাটি বিচারকাজ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ নির্ধারণ করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ৩ জন প্রসিকিউটর নিয়োগও দেয়া হয়েছে।
ভয়েস টিভি/টিআর