অটোপ্রমোশন নয়, পূর্বের যোগ্যতার ভিত্তিতে জেএসসি শিক্ষার্থীদের অষ্টম থেকে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক।
২৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে অনুষ্ঠিত আন্তশিক্ষা বোর্ডের উপকমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, এ বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত শ্রেণিকক্ষে এবং পরবর্তী সময়ে সংসদ টিভি ও অনলাইনে যা পড়ানো হয়েছে তার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে। নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সম্ভব হলে সরাসরি, না হলে অনলাইনে অথবা আগের মূল্যায়নের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করবেন।
অধ্যাপক জিয়াউল হক আরও বলেন, মূল্যায়নের বিষয়ে শিক্ষকদের জন্য একটি গাইড লাইন করে দেয়া হবে।
এই বৈঠকে সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন। তবে সভায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (এইচএসসি) নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান।
চলতি শিক্ষাবর্ষে জেএসসি-জেডিসিতে ২৫ লাখ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু করনোর কারণে সরকার গত ২৭ আগস্ট এই দুই পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করে।
এর আগে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাও বাতিল ঘোষণা করা হয়। পরে ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম আমিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন জারি হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনা সংক্রমণের কারণে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ২০২০ সালের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা গ্রহণ না করে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে নবম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হবে।
ভয়েস টিভি/টিআর