ভয়েস রিপোর্ট: কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাস মহামারি নিয়ন্ত্রণে এবার আসছে লকডাউন। বিভিন্ন এলাকাকে রেড বা ইয়েলো জোন নির্ধারণ করে লকডাউনে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে অনেকদিন সাধারণ ছুটিতে কাজ না হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে সরকার।
স্বাস্থ্যবিভাগ বলছে, কোনো এলাকায় প্রতি এক লাখ বাসিন্দার মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০-৪০ জন হলে সেই এলাকা রেড জোন হিসেবে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হবে। এ সপ্তাহেই জোন ভাগের কাজ শেষের পর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।
জানা গেছে, অনেক মন্ত্রণালয় ও সংস্থা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। জোন ভাগের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আইসিটি মন্ত্রণালয় ম্যাপ নির্ধারণে ব্যস্ত। এতে রয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিশেষজ্ঞরাও। একইসঙ্গে সহযোগিতা করছে সিটি করপোরেশন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, দুই-একদিনের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে কাজটি শুরু হবে। এটি সফল হলে পরের সপ্তাহ থেকে পুরো পরিকল্পনা করে মাঠে নামবে সংশ্লিষ্টরা। তবে দেশজুড়ে বাস্তবায়নে সময় লাগবে।।
জানা গেছে, কোনো এলাকার বাসিন্দাদের প্রতি লাখে অন্তত ৩০-৪০ জন করোনা আক্রান্ত হলেই রেড জোন ঘোষণা করা হবে। রোগীর সংখ্যা এর কম থাকলে তা ইয়োলো জোন হিসেবে বিবেচিত হবে। দীর্ঘমেয়াদে ইয়োলো জোনকেও লকডাউনের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে কিছুটা শিথিল অবস্থা থাকবে। প্রয়োজনে কাগজ দেখিয়ে ইয়েলো জোন এলাকা থেকে বের হওয়া যাবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, একটি ওয়ার্ড বা প্রয়োজনে তারচেয়ে ছোট এলাকাও লকডাউন হতে পারে। লকডাউন থাকা এলাকার জনসাধারণের প্রবেশ ও বহির্গমন বন্ধ থাকবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য লকডাউন এলাকার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেয়া হবে। আর নিম্ন-আয়ের মানুষদের জন্য সরকারি সহায়তা থাকবে।