ভয়েস টিভি রিপোর্ট: প্রতারণা ও মানব পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার এমপি কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তলব করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মানব ও অর্থ পাচারের অভিযোগে গত ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পাপুলকে। এরপর তাকে আট দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউশন বিভাগ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে সম্প্রতি সব ব্যাংকে চিঠি দিয়ে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, কাজী পাপুল বা তার স্বার্থসংশ্নিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে অতীতে বা বর্তমানে কোনো হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে তা জানাতে হবে। তার অ্যাকাউন্ট খোলার ফরম, লেনদেন বিবরণীসহ সব ধরনের তথ্য দিতে বলা হয়েছে। পাপুলের বর্তমান ঠিকানা দেওয়া হয়েছে- সিইএন ডি/২, রোড-৯৫, গুলশান-২। আর স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে- লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর পৌরসভার কাজী বাড়ি। পাপুল প্রবাসী বাংলাদেশিদের মালিকানায় গড়ে ওঠা এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালক।
কুয়েতে আটকের পর নানা আলোচনার মধ্যে ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে তার নাম সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে এমপি কাজী শহীদ ইসলাম পাপুলের প্রত্যেকের অ্যাকাউন্ট খোলা ও লেনদেন-সংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠাতে হবে ।
মানব ও অর্থ পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি সংসদ সদস্য কাজী শহীদ পাপুলের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযোগ আনলেন কুয়েতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী আনাস আল-সালেহ।
টুটট বার্তায় তিনি এটিকে এশিয়ার মধ্যে ‘সবচেয়ে বড়’ মানবপাচারের ঘটনা হিসেবে অভিহিত করেছেন। একই সঙ্গে এই মানব ও অর্থ পাচারের সঙ্গে কুয়েত সরকারের কারও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদেরও আইনের আওতায় আনার ঘোষণা দেন তিনি।
টুইট বার্তায় বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহে অভিবাদন পাওয়ার মতো কাজ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মীরা। তারা এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় মানব পাচারের ঘটনা প্রকাশ করেছে। তদন্তে সন্দেহভাজনের আর্থিক লেনদেনের তথ্য বেরিয়ে এসেছে। তদন্তে সরকারি কর্মকর্তা বা বিশিষ্ট কারও নাম এলে তাদেরও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতে হবে। কারও জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তাদের পাবলিক প্রসিকিউশনে পাঠানো হবে।’
এদিকে অপর এক টুইট বার্তায় বাংলাদেশি এমপি’র সঙ্গে কুয়েতের কারা জড়িত আছেন তাদের নাম প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন দেশটির সংসদ সদস্য আবদুল করিম আল-কানদারি।
টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘কেবল বাংলাদেশি এমপির নাম প্রকাশ করলেই হবে না, কুয়েতের প্রতিনিধি কিংবা সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা তাকে সহযোগিতা করেছে তাদের সবার নাম প্রকাশ করতে হবে। এটা এখন জনগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট একটি বিষয়।’