Home ভিডিও সংবাদ ঐতিহ্যবাহী বঙ্গবন্ধু কলেজে লেখাপড়া করছে ৮ জেলার মানুষ

ঐতিহ্যবাহী বঙ্গবন্ধু কলেজে লেখাপড়া করছে ৮ জেলার মানুষ

by Amir Shohel

সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ গোপালগঞ্জ, বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী সরকারি কলেজ। এই কলেজটি সরকারি বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ নামে পরিচিত। আধুনিক সুযোগ সুবিধাসহ শ্রেণিকক্ষ, গবেষণাগার, গ্রন্থাগার এবং সাধারণ কক্ষ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি গোপালগঞ্জের ছাত্র রাজনীতির সুতিকাগার হলেও রাজনৈতিক অস্থিরতা থেকে মুক্ত, ফলে কলেজটি জেলার অন্যতম কলেজের স্বীকৃতি পেয়েছে।

১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত ইন্টারমিডিয়েট কলেজ হিসাবে আইএ ও আইকম ক্লাস চালু করা হয়। নামকরণ করা হয় কায়েদে আজম মেমোরিয়াল কলেজ। কলেজেটির প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন পবিত্র কুমার দাস গুপ্ত। ১৯৫৮ ইং সালে বিএ ১৯৯৬ ইং সালে বিকম এবং ১৯৭০ ইং সালে বিএসসি কোর্স চালু হয়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পরবর্তীকালে কলেজটির নামকরণ করা হয় বঙ্গবন্ধু মহাবিদ্যালয়। ১৯৭৪ সালে এপ্রিলে কলেজটিকে সরকারিকরণ করা হয়। নামকরণ হয় সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ।

গোপালগঞ্জ জেলা সদরে অবস্থিত পশ্চিমে মরা মধুমতি নদী, দক্ষিণে জেলা জজকোর্ট। একাদশ ও স্নাতকসহ ১৩টি বিষয়ে অনার্স, ১১টি বিষয়ে মাস্টার্স এ পাঠদান করা হয়। কলেজটির একাডেমিক ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য, একটি অডিটোরিয়াম, একটি প্রশাসনিক ভবন, পাঠাগার, দুই টি ছাত্র হোস্টেল ও ২টি ছাত্রী হোস্টেল ভবনসহ ১৩টি পাকা ভবন রয়েছে। রয়েছে একটি মসজিদ ও একটি মন্দির। এছাড়া নির্মানাধীন রয়েছে ১০তলা বিশিষ্ট কমার্স ভবন, ৪তলা বিশিষ্ট ডরমিটরি ভবন ও ১৩২ শয্যার ৫তলা বিশিষ্ট ছাত্রী হোস্টেল ভবন। কলেজটির মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ১৮ হাজার। ৯২টি পদের বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন ৮৫ জন। আর সরকারি বেসরকারি মিলে কর্মচারী রয়েছে ৮৬ জন।

জাতির পিতার নামের এ কলেজটিতে রয়েছে একটি খেলার মাঠ। মাঠটিতে শুধু কলেজের শিক্ষার্থীরা নয়, শহরের অধিকাংশ যুবক এখানে খেলাধুলা করে থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি অনুষ্ঠান এ মাঠেই অনুষ্ঠিত হয়। কলেজের জমির পরিমান ৫ দশমিক ৭০ একর। এ কলেজটিতে গোপালগঞ্জ জেলাসহ পার্শ্ববর্তী বাগেরহাট, নড়াইল, খুলনা, বরিশাল, পিরোজপুর, মাদারীপুর ও ফরিদপুর জেলা থেকেও শিক্ষার্থী ভর্তি হয়।

ভয়েসটিভি/এএস

You may also like