দেশে গত একদিনে আরও ৪৬ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে কোভিড-১৯। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল দুই হাজার ১৯৭ জনে। আর নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৪৮৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৭২ হাজার ১৩৪ জনে।
৮ জুলাই বুধবার দুপুরে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৭৩৬ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮০ হাজার ৮৩৮ জন।
সারাদেশে ৭৫টি ল্যাবে হওয়া নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৮৮২টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৬৭২টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে আট লাখ ৮৯ হাজার ১৫২টি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হওয়া ৪৬ জনের মধ্যে ৩৮ জন পুরুষ ও নারী আট জন। এদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগে ১২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪ জন, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগে তিন জন করে ছয় জন, খুলনা বিভাগে নয় জন, সিলেট বিভাগে চার জন, রংপুর বিভাগে এক জন।
করোনায় মৃত্যু হওয়াদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে এক জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে তিন জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এক জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুই জন ও ২১ থেকে থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুই জন।
তিনি জানান, গত একদিনে আইসোলেশনে এসেছেন ৭৯২ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৮০৯ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৩৩ হাজার ১৪৩ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৬ হাজার ৮৫৬ জন।
বুলেটিনে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের আহ্বান জানান।
কোভিড-১৯ এর ছোবলে গোটা বিশ্ব এখন মৃত্যুপুরী। গেল বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানোর পর বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এখন এক কোটি ১৭ লাখ ৫৬ হাজারের বেশি। মৃতের সংখ্যা পাঁচ লাখ ৪১ হাজার ছাড়িয়েছে। তবে সাড়ে ৬৭ লাখের মতো রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। বাংলাদেশে করোনা প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।
সম্পাদনা : আমির