ভয়েজ রিপোর্ট: লক্ষীপুর-২ আসনের এমপি মোহাম্মদ শহীদ ইসলাম পাপলুকে মানবপাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে কুয়েত ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট সিআইডি। রোববার তাকে গ্রেফতার করা হয়।
কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালাম জানিয়েছেন, রোববার সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহীদ ইসলাম পাপলুকে কুয়েত ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট-সিআইডি গ্রেফতার করেছে কি না বা যে অভিযোগের কথা বলা হচ্ছিলো এ বিষয়ে মামলা রয়েছে কি না সেসব বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। আমরা বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করছি।
জানা গেছে, মানবপাচার ও অর্থপাচারের বিরুদ্ধে কুয়েত সরকার অভিযান পরিচালনা করছে। কুয়েত ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহীদ ইসলাম পাপলুও রয়েছেন।
এ বিষয়ে তার স্ত্রী সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম বলেন, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল কুয়েতে গ্রেফতার সম্পর্কিত যে তথ্য ঠিক নয়। তিনি সেখানে কোনো মামলার আসামি নন। কুয়েত সরকারের তাদের নিয়ম অনুযায়ী তার ব্যবসায়িক বিষয়ে আলোচনার জন্য তাকে সেখানকার সরকারি দপ্তর বা সিআইডিতে ডেকে নিয়েছে। ‘প্রকৃতপক্ষে মোহাম্মদ শহিদ কুয়েতে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তিনি খ্যাতনামা মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও। এই কোম্পানির কুয়েতি অংশীদারও রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানে ২৫ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি কর্মরত। বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারির কারণে অন্য দেশের মতো কুয়েতেও তিন মাস ধরে লকডাউন চলছে।’ এ পরিস্থিতিতে অনেক অভিবাসী কর্মী বেকার রয়েছে। তাদের কেউ কেউ সরকারি দপ্তরে অভিযোগ করেছেন। এসব বিষয় নিয়ে কুয়েতের সরকারি দপ্তর ও সিআইডি তাকে আলোচনা জন্য ডেকে নিয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে পরিষ্কার কোনো তথ্য ছাড়া কাউকে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।
কুয়েতের স্থানীয় সূত্র জানায়, মানবপাচার ও অর্থপাচারের বিরুদ্ধে কুয়েত সরকার থেকে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। কুয়েত ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট-সিআইডি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপলুও রয়েছেন।
এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম। তার বিরুদ্ধে কুয়েতে মানবপাচার করে এক হাজার ৪শ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগে গত ফেব্রুয়ারি থেকে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানও শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।