Home প্রযুক্তি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের অস্তিত্ব কী সংকটে

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের অস্তিত্ব কী সংকটে

by Amir Shohel

মানুষকে তাক লাগিয়ে দেয়ার মতো বুদ্ধমত্তা এবং কার্যকলাপ করে যেসব যন্ত্র বা রোবট সেগুলোই হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন রোবট। মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তা শক্তিকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তি নির্ভর করে যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলে।

কম্পিউটারকে মিমিকস কগনেটিক এককে আনা হয় যাতে করে কম্পিউটার মানুষের মত ভাবতে পারে। যেমন শিক্ষা গ্রহণ এবং সমস্যার সমাধান। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হল মেশিন দ্বারা প্রদর্শিত বুদ্ধি। কম্পিউটার বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে, এআই গবেষণার ক্ষেত্রটি ‘বুদ্ধিমান এজেন্ট’-এর অধ্যয়ন হিসাবে নিজেকে সংজ্ঞায়িত করে: যে কোনও যন্ত্র যা তার পরিবেশকে অনুধাবন করতে পারে এবং এমন কিছু পদক্ষেপ নেয় যা কিছু লক্ষ্য অর্জনে তার সাফল্যকে অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে নেয়। একটি সিস্টেমের বহির্ভূত তথ্য সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারার ক্ষমতা, এমন তথ্য থেকে শিক্ষা গ্রহণ এবং ঐ শিক্ষা ব্যবহার করে নমনীয় অভিযোজনের মাধ্যমে বিশেষ লক্ষ্য করা।

মেশিনগুলি ক্রমবর্ধমানভাবে সক্ষম হয়ে উঠে তখন মানসিক সুবিধার জন্য বুদ্ধিমত্তাকে সংজ্ঞা থেকে সরিয়ে ফেলার প্রয়োজন হয়। উদাহরণস্বরূপ, অপটিক্যাল অক্ষর স্বীকৃতিটি ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার’ উদাহরণ হিসাবে আর অনুভূত হয় না, তখন এটি একটি রুটিন প্রযুক্তি হয়ে ওঠে। বর্তমানে যে সক্ষমতাগুলোকে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে সেগুলি মানুষের বক্তব্যকে সফলভাবে বুঝতে পারে।
চিন্তা করতে সক্ষম কৃত্রিম মানুষ মূলত গল্প বলার যন্ত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। রামন লোল ১৩শ শতাব্দীতে এই ধারণার উদ্ভাবন করেন। ১৯৫৬ সালে জন ম্যাকাটি আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্ট ধারণা ডার্থমাউন্ট পরে ১৯৯০ এবং একবিংশ শতকের প্রথম দিকে সরবরাহ, ডেটা মাইনিং, চিকিৎসা নির্ণয়ের এবং অন্যান্য এলাকার জন্য এআই ব্যবহার করা শুরু করেছিল।২০১০ এর মাঝামাঝি পর্যন্ত, সারা পৃথিবীতে মেশিন লার্নিং অ্যাপ্লিকেশনগুলি ব্যবহার করা হতো।

২০১৫ সালে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্য একটি মাইলফলক বছর ছিল, গুগলের মধ্যে এআই ব্যবহার করার জন্য সফটওয়্যার প্রকল্পগুলোর সংখ্যা ২০১২ সালে ২৭০০ এরও বেশি প্রকল্পে ‘স্পোরাইডিক ব্যবহার’ বৃদ্ধি পেয়েছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য সহায়ক নাকি হুমকি এমন প্রশ্ন উঠে এসেছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই আই অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো রোবটিক কার্যক্রম হেলথকেয়ার মানে স্থাস্থ্যসেবা বিজনেস বিশ্লেষন এবং মার্কেটিং এর জন্য।

যেমন গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিনগুলো কিভাবে এত নিখুঁত ফলাফল দিচ্ছে। কিভাবে ফেসবুক একের পর এক ব্যক্তির চাহিদামত কন্টেন্ট দিতে পারে। এজন্য কিছু তথ্য বা উপাত্তের ওপর নির্ভর করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্ট।
আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্ট এখন তিনটি ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে একটি হলো আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্টের সংর্কীণ প্রয়োগ আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্টের সাধারণ এবং সুপার প্রয়োগ।

সংকীর্ণ বা ন্যারো ইন্টালিজেন্ট হলো একেবারেই নিয়মবদ্ধ কাজ করে। তাকে গন্ডির মধ্যে যতটুকু কাজ করতে বলা হয় সে শুধু সেটুকুই করে।

ফেস ভেরিফিকেশন মোবাইলে অটোপাইলট ফিচার ডেসলার গুগল ম্যাপ এমন সংকীর্ণ ইন্টিলিজেন্সের প্রকৃষ্ট উদহারণ। শক্তিশালী কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হলো এমন বিষয় যা নিজে থেকেই তার কাজগুলোর গন্ডি বাড়াতে পারে।

আর সুপার এ আই হলো মানুষের বুদ্ধিমত্তাকেও ছাড়িয়ে যায়। এই উদহারণ আমরা দেখতে পারি সায়েন্স ফিকশন মুভি এবং অবাক করা সব চিত্রায়নে। অনেক বিজ্ঞানী মনে করে আগামী ২০৪০ সালে সুপার আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্ট পৃথিবী শাসন করবে।

ভয়েসটিভি/এএস

You may also like