কৃষি জমি ও বসতবাড়ি রক্ষার্থে কৃষি জমিতে নয়, অর্থনৈতিক অঞ্চল বা ইকোনোমিক জোনে শিল্পকারখানা নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৪ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। গণভবন থেকে সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সভা শেষে প্রকল্পের সার্বিক বিষয় সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আপনারা ব্যবসা করতে চান বা শিল্প করতে চান, তাহলে শিল্প এলাকায় যান। বাড়ির পাশের ধানের জমি নষ্ট করে শিল্প স্থাপন করবেন কেন? আমরা উৎসাহ দেব, আপনারা শিল্প এলাকায় এসে শিল্পকারখানা স্থাপন করেন। সেখানে আপনারা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও পাবেন। গ্যাস, রাস্তা, ব্যাংক সব পাবেন।’
প্রধানমন্ত্রীর অন্যান্য নির্দেশনা তুলে ধরে এম এ মান্নান বলেন, ‘শুধু মেডিকেল বর্জ্যই নয়, সব ধরনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জোরদারে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। বাস, নৌ, বিমানসহ যেকোনো স্টেশনের বর্জ্য অপসারণ করতে হবে।’
‘এ কাজে যেসব সংস্থা দায়িত্বপ্রাপ্ত তাদেরও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নদীর পাড় দখলমুক্ত করতে হবে। কচুরিপানামুক্ত করে ড্রেজিং করতে হবে।’
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মৌজা ও প্লটভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। দেশের সব ভূমিকে জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ভূমির গুণাগুণ অনুযায়ী ভূমিকে প্লটওয়ারি কৃষি, আবাসন, বনায়ন, জলমহাল, বাণিজ্যিক ও শিল্প উন্নয়ন, পর্যটন ইত্যাদি শ্রেণিতে বিভক্ত করে গ্রামাঞ্চলের জন্য মৌজা ও প্লটভিত্তিক ডিজিটাল ভূমি জোনিং ম্যাপ প্রণয়ন করা হবে।
ভয়েস টিভি/টিআর