Home জাতীয় স্বাভাবিক রুটিনে স্কুল-কলেজে ক্লাস শুরু, স্বস্তিতে অভিভাবকরা

স্বাভাবিক রুটিনে স্কুল-কলেজে ক্লাস শুরু, স্বস্তিতে অভিভাবকরা

by Mesbah Mukul

মহামারীর ধাক্কা সামলে দীর্ঘ দু’বছর পর স্বাভাবিক রুটিনে ক্লাস শুরু হয়েছে স্কুল-কলেজগুলোতে। মাঝে সংক্রমণ কমে এলে সীমিত আকারে সশরীরে ক্লাস শুরু হয়। মঙ্গলবার ১৫ মার্চ থেকে প্রতিদিন সব বিষয়ে পুরোদমে ক্লাস নেওয়া শুরু করেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।

সশরীরে শুরু হওয়া এ ক্লাস পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চলবে। করোনার সংক্রমণে দুই শতাংশের নিচে নেমে আসায় সোমবার ১৪ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়।

সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলে সশরীরে পূর্ণাঙ্গ শ্রেণি কার্যক্রমে ফিরতে দুই বছরের অপেক্ষার অবসান হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে অভিভাবকদের মনেও। শত শত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে স্কুল প্রাঙ্গণ।

সরেজমিনে রাজধানীর আজিমপুরে ভিকারুননিসা নূন স্কুল, আজিমপুর গার্লস স্কুল, অগ্রণী বালিকা স্কুল ও উদয়ন স্কুল ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এদিকে রাজধানীতে শুরু হয়েছে যানজট। শিক্ষার্থীদের চাপে স্কুল ও আশপাশের এলাকায় প্রকট যানজট দেখা দেয়। যানবাহন নিয়ন্ত্রণে সাত সকালে ট্রাফিক পুলিশকে দেখা যায় ব্যস্ত। কোনো কোনো অভিভাবককে স্কুলের আশপাশের বেকারি ও দোকান থেকে সন্তানদের জন্য টিফিন কিনতে দেখা যায়। ফলে এসব দোকানে বাড়ে বেচাকেনা।

এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে একাধিক অভিভাবক জানান, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর পুরোদমে ক্লাস শুরু হয়েছে। ফলে রাত থেকেই স্কুল ড্রেস, ব্যাগ, বই, খাতা-কলম গুছিয়ে রাখে সন্তানরা।

লালবাগের বাসিন্দা ভিকারুননিসা নূন স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী নুসাইবা রহমানের মা লায়লা রহমান বলেন, এতোদিন সীমিত আকারে ক্লাস থাকায় সন্তানদের ঘুমাতে দেরি হতো। এখন থেকে স্কুল শুরু হওয়ায় রাতে দ্রুত ঘুমাতে যাওয়াসহ রুটিনে পরিবর্তন আনতে হচ্ছে।

তিনি জানান, সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মেয়ে ক্লাসে থাকবে। তাই টিফিন কিনে দিতে হয়েছে। তবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সীমিত আয়ের মানুষের ওপর চাপ আরও বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।

রাজধানীর জিগাতলার বাসিন্দা উদয়ন স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মনজুরুল হোসেনের বাবা দেলোয়ার হোসেন বলেন, নতুন এক যুদ্ধ শুরু হলো। সকালে স্কুলে দৌড়ানো, ছুটি শেষে বাসায় নিয়ে যাওয়া, সেখান থেকে কোচিংয়ে নেওয়া।

তবে সন্তানের কথা ভেবে এসব কষ্টকে পাত্তা দিচ্ছেন না তিনি। বলেন, কষ্ট হলেও সন্তানরা পড়াশুনা করে ভালো মানুষ হবে এটাই চাওয়া।

ভয়েসটিভি/এমএম

You may also like