খুলনা : খুলনা মহানগরীতে মসজিদ কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে ৪ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। ১৭ জুলাই বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। এর আগে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় নিহত হন নজরুল ফকির ও রসুল ফকির নামের দুজন।
এ ছাড়া রাতভর টানটান উত্তেজনার মধ্যে রাতে জিহাদ শেখ নামের এক যুবককে প্রতিপক্ষ গণপিটুনি দেয়। জিহাদ শেখ পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৪টার দিকে মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) মুখপাত্র সহকারী কমিশনার কানাই লাল সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয়দের বরাতে জানান, ‘এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক ও পাটকল শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া, তার ভাই জাফরিন ও মিল্টনের সঙ্গে স্থানীয় ফকির বংশের সমর্থকদের বিরোধ রয়েছে। তিন ভাই মৃত হাসান প্রফেসরের ছেলে। মসজিদ কমিটি নিয়ে তিন ভাইয়ের সঙ্গে গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ির পাশে গুলি রেখে মুজিবর শেখ নামের একজনকে খানজাহান আলী থানা পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেন জাকারিয়া ও জাফরিন। এর জের ধরে বিকেলে দুপক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়।
রাত ৯টার দিকে ফকির বংশের সমর্থকরা লোকজন নিয়ে ওই তিন ভাইয়ের বাসভবনে হামলা চালায়। ওই সময় বাড়ি থেকে অনবরত গুলি করলে কয়েকজন আহত হন। আহত অবস্থায় নজরুল ফকির ও রসুল ফকির নামের দুজনকে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে, রাতেই খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মাহাবুবুল সোহাগ ই-মেইল বার্তায় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মশিয়ালীর ঘটনায় গুলি করার দায়ে জাকারিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ভয়েস টিভি/খুলনা প্রতিনিধি/ডিএইচ