বরেণ্য অভিনেত্রী তারানা হালিম। বর্তমানে পর্দায় তার উপস্থিতি নেই বললেই চলে। সম্প্রতি একটি টেলিভিশনের ঈদের বিশেষ ‘রাঙা সকাল’-এ অতিথির আসনে বসেন তিনি। সেখানেই নিজের শৈশবের স্মৃতিচারণ করেন।
তারানা হালিম বলেন, ‘ছোটবেলায় আশেপাশের অনেকেই আমার গায়ের রং নিয়ে কটু কথা বলতো। যেহেতু শিশু মন, মানুষের কথায় প্রভাবিত হয়েছিলাম। মন খারাপ করে ভাবতাম, কেন উজ্জ্বল শ্যামলা হলাম? কেন দুধে-আলতা ফর্সা হলাম না। অবশ্য শুধু বাইরের মানুষের দোষ দিয়ে কি হবে, আমার একমাত্র ভাইও আমার দুর্বল জায়গা নিয়ে মজা করে ক্ষেপাতো। কষ্ট সহ্য করতে না পেরে একদিন কাঁদতে কাঁদতে বাথরুমে গিয়ে পুরো একটা সাবান খেয়ে ফেলেছিলাম। ভেবেছিলাম, সাবান মেখে যদি গায়ের ধুলো ময়লা চলে যায়, তাহলে নিশ্চয়ই সাবান খেলে ফর্সাও হওয়া যাবে।’
তিনি জানান, ‘বড় হয়ে এই ঘটনার কথা যতবার ভেবেছি, ততোবারই হেসেছি। সেই সাথে আল্লাহকে ধন্যবাদ দিয়েছি, আমাকে তিনি এভাবে তৈরি করেছেন। সব মানুষই সুন্দর। অসৎ কর্মই কিছু মানুষকে ক্ষেত্র বিশেষে অসুন্দর করে তোলে।’
বাংলাদেশ টেলিভিশনে শিশুদের প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান ‘নতুন কুঁড়ি’র প্রথম চ্যাম্পিয়ন ছিলেন তারানা হালিম। তার জীবনে ‘৯’ সংখ্যাটির একটি মজার সংযোগ রয়েছে। ১৯৮২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে তিনি ৯ম হয়েছিলেন, ১৯৮৪ সালে এইচএসসিতেও ৯ম স্থান দখল করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এলএলএম পরীক্ষাতেও ৯ম হয়েছিলেন। এছাড়াও ৯ম সংসদ অধিবেশনে প্রথমবার সাংসদ হয়েছিলেন, সেটিও ২০০৯ সালে।
ভয়েস টিভি/এসএফ