সম্প্রতি লালমনিরহাটের জেল সুপারকে ফোন করে ও চিঠি পাঠিয়ে জঙ্গি ছিনিয়ে নেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে। একই হুমকি দেয়া হয়েছে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে।
এ সংবাদ পাওয়ার পরপরই দেশের সব কারাগারে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা। সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে ১৮টি নির্দেশনা দিয়ে রোববার কারাগারগুলোতে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
একাধিক কারা কর্মকর্তা জানান, কারাগারে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের বন্দি সদস্য, শীর্ষ সন্ত্রাসী, বিডিআর ও বিভিন্ন সংবেদনশীল মামলায় আটক বন্দিদের চলাচল ও গতিবিধি কঠোরভাবে নজরদারির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (এআইজি) মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চিঠিতে আইজি প্রিজন্স উল্লেখ করেন, কিছু দুষ্কৃতকারী ব্যক্তি কারাগারে বন্দি জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেয়ার হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে, টেলিফোনও করেছে।
চিঠিতে বলা হয়, কারাগার একটি স্পর্শকাতর প্রতিষ্ঠান। দুষ্কৃতকারীদের অপতৎপরতা নস্যাৎ করে বন্দির পলায়নসহ যে কোনো দুর্ঘটনায় কঠোর হওয়া কারাগারের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রধানত দায়িত্ব। সম্প্রতি কিছু কারাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় শৈথিল্যের প্রমাণ পাওয়া গেছে। দেশের সব কারাগারে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পূর্ব থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক।
এমতাবস্থায় কারাগারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিম্নোক্ত কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। নির্দেশনাগুলো হলো- প্রতিটি কারাগারে একজন ডেপুটি জেলার, একজন প্রধান কারারক্ষী ও পাঁচজন কারারক্ষীর সমন্বয়ে একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স গঠন করে সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিরোধে প্রস্তুত থাকতে হবে।কারাগারের বাইরের গেটে দায়িত্বপালনকারীদের বুলেট প্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট নিশ্চিত করে আগতদের মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করতে হবে।
‘ডিউটিতে সশস্ত্র সেন্ট্রি নিয়োগ দিতে হবে। অস্ত্র ও অস্ত্রাগারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। অস্ত্রাগার থেকে প্রয়োজনীয় মুহূর্তে যেন দ্রুত অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করা যায় সেজন্য প্রয়োজনীয় মহড়ার আয়োজন করতে হবে। কারাগারের চারপাশের সীমানা প্রাচীর সুরক্ষিত রেখে এবং অ্যালার্ম সিস্টেম পরীক্ষা করে প্রস্তুত রাখতে হবে।’
ভয়েস টিভি/টিআর