বর্তমান কমিশনের ভোটে জনগণের আস্থা আছে বলেই জনগণ ভোট দিতে যায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, ইসি মোটেই অনাস্থার জায়গা নয়। জনগণের আস্থা নেই এ কথা বলা যাবে না। জনগণ তো বলেনি ইসির প্রতি তাদের আস্থা নেই। রাজনৈতিক দলের লোকেরা এটা বলেন। অনেক সময় তারা নির্বাচনে প্রতিযোগিতায় হেরে এমন কথা বলেন। যদি আস্থা না থাকে যেসব নির্বাচন হচ্ছে তাতে উপচে পড়া ভোটার থাকে কীভাবে প্রশ্ন রাখেন তিনি।
২৯ সেপ্টেম্বর বুধবার ৮৬তম কমিশন সভা শেষে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ কথা বলেন। এ সময় ইসির অতিরিক্ত সচিব, এনআইডি উইং ডিজি ও ইসি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি বলেন, আমাদের নির্বাচনে দীর্ঘ লাইন থাকে। প্রত্যেক নির্বাচনেই ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ লোক ভোট দেয়। এটা আস্থা না থাকলে সম্ভব হতো না। রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে ইসি নিয়োগ হওয়া উচিত। গতবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন : নির্বাচন কমিশনের উপর জনগণের আস্থা নেই : মির্জা ফখরুল
আইন প্রণয়নের বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয় ও সংসদের বিষয় উল্লেখ করেন তিনি জানান, এ নিয়ে ইসির মতামত দেওয়ার কিছু নেই। বর্তমান ৫ সদস্যের ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারিতে। রাষ্ট্রপতি প্রধান দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে সার্চ কমিটির মাধ্যমে এ কমিশন নিয়োগ দিয়েছিলেন। সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠন নিয়ে নানা মহলের সমালোচনা হচ্ছে। সাংবিধানিকভাবে আইন প্রণয়নের দাবিও উঠেছে।
নির্বাচন কমিশন নিয়োগে আইনি উদ্যোগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেন, নির্বাচন কমিশনের মতামত এখানে থাকে না, এখানে ইসির কাছে মতামত চাওয়া হয় না। চাইলে তখন কমিশন বসে আমরা দেখব। সাধারণত কমিশনের কাছে মতামত চাওয়া হয় না। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ইসি নিয়োগে রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ওপর জোর দেওয়া উচিত।