কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ায় সেতেুর মুখের জমিতে বালি ভরাট করায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। আর এই জলাবদ্ধতার কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে হাজারো মানুষ। কুষ্টিয়া-রাজবাড়ি সড়কের অদূরে কুমারখালী উপজেলার সদরপুর মনোহরপুর গ্রামের প্রবেশমুখে অবস্থিত এই রেলসেতু (হাতি সাঁকো)। গেল কয়েক বছর আগে এই সেতুর নীচের পাকা সড়কটি আরসিসি ঢালাই দিয়ে উঁচু করা হলে জলাবদ্ধতা দূর হয়েছিল। কিন্তু সেতুর অদূরের একটি জমিতে বালি ভরাট করার কারণে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আবারো দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, প্রতিদিন বহু মানুষ বাই সাইকেল, মটর সাইকেল, রিক্সা-ভ্যান, অটো-সিএনজি পরিবহনে যাতায়াত করে। একইসঙ্গে রয়েছে মালবাহি যানবাহনের চাপ। কিন্তু এই জলাবদ্ধতার কারণে বহু মানুষকে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নন্দলালপুর ইউনিয়নের সদরপুর ও মনোহরপুর গ্রামের প্রবেশমুখের রেলসেতুর নীচের পাকা সড়ক দিয়ে কয়া ইউনিয়নের বাসিন্দারা কুমারখালী উপজেলা সদরে যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ এই জলাবদ্ধতার কারণে প্রতিদিন হাজারো মানুষ দুর্ভোগ পোহালেও কেউ জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, গভীর রাত পর্যন্ত তারা ঘুমাতে পারেন না। পথচারীরা রাতে যাতায়াতের সময় মালামাল নিয়ে সেতুর নীচের গর্তের নোংরা পানিতে পড়ে গেলে কিংবা যানবাহন আটকে গেলে তারা পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজনদের ডাকেন। আর এ অবস্থা চলছে এবার দীর্ঘ প্রায় কয়েকমাস যাবৎ।
স্থানীয় বাসিন্দা ও দূর-দূরান্তের পথচারীদের অভিযোগ, এই আধুনিক যুগেও যদি এমন দুর্ভোগ নিরসনে মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয়, তাহলে তা খুবই দুঃখজনক। মানুষ প্রতিদিন নোংরা পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করছে। তবুও জলাবদ্ধতা নিরসনে দায়িত্বশীলদের কেউ স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসেনি। আর জলাবদ্ধতা ও জন দুর্ভোগের শুরু থেকেই সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তা সত্ত্বেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জলাবদ্ধতা নিরসনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নাই।
যদিও কয়েক বছর আগে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ নিরসনে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদরের (এলজিইডি) উদ্যোগে আরসিসি ঢালাই দিয়ে সেতুর তলদেশ উচু করা হয়েছিল। সে সময়ে জলাবদ্ধতা নিরসন হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি সেতুটির অদুরের একটি জমিতে বালি ভরাট করায় পানি নিষ্কাশনের পথ বদ্ধ হয়ে যাওয়ায় আবারও দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।
এ বিষয়ে নন্দলালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নওশের আলী বিশ্বাস জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিকল্প উপায়ে পানি নিস্কাসনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এদিকে, কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীবুল ইসলাম খান বলেছেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রয়োজনী ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ভয়েসটিভি/এএস